রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিএসটিআইয়ের পরিধি বাড়ানো দরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএসটিআইয়ের পরিধি বাড়ানো দরকার

গোলাম রহমান

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনকে (বিএসটিআই) আরও আধুনিক হতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানটিকে তার সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। একই সঙ্গে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইর কার্যক্রমের পরিধিও বৃদ্ধি করা দরকার বলে জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ— ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান।

তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে বিএসটিআইর যে কয়েকটি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ বাধ্যতামূলক, সেগুলোর মান নির্ধারণের পর তা বজায় থাকে কি না সেটি পরীক্ষা বা নজরদারি করার জন্য বিএসটিআইর সচেতন থাকা প্রয়োজন। যদিও আমরা জানি যে বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ বাজার থেকে বিভিন্ন পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে এর মান ঠিক আছে কি না তা পরীক্ষা করে থাকে।’ ক্যাব সভাপতি বলেন, ভোক্তাদের যে অধিকার, তা হলো নিরাপদ ও মানসম্মত পণ্য পাওয়ার অধিকার। কিন্তু ভোক্তাদের পক্ষে প্রতিটি পণ্য পরীক্ষা করে এর মান নির্ণয় করা সম্ভব না। এটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। যেমন ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ করবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। কিন্তু অন্যান্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বিএসটিআইর। সরকার এ পর্যন্ত বিএসটিআই কর্তৃক ১৫৪টি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ বাধ্যতামূলক করেছে। এ ছাড়া সম্প্রতি আরও কয়েকটি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ বাধ্যতামূলক করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর এই তালিকাভুক্ত পণ্যগুলো কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি উত্পাদন করতে পারবে না, যদি তা বিএসটিআই কর্তৃক নির্ধারিত মানদণ্ডের না হয়। গোলাম রহমান বলেন, ‘আশঙ্কার বিষয় এই যে, আমাদের দেশে নকল ও ভেজাল পণ্য প্রচুর। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের ক্ষেত্রে গুণগত মান রক্ষা করা বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষেও কঠিন। এ জন্য আমি মনে করি, খাদ্যদ্রব্যের ভেজাল প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট জোরদার করা দরকার। একই সঙ্গে ভোক্তা বা ক্রেতাদেরও সচেতন হতে হবে। তারা যাতে মানহীন পণ্য ক্রয় না করেন সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে। পণ্যটির প্যাকেটে বিএসটিআইর সিল আছে কি না তা বিশেষভাবে লক্ষ্য করা উচিত।’

তিনি বলেন, দাম কম বলে ক্রেতা মানহীন পণ্য ক্রয় করবেন এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আর এমনটি করা হলে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখাও সম্ভব হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশে আমদানি করা অনেক পণ্য নিম্নমানের। এর অনেকগুলো চীন থেকে আমদানি করা হয়। দেশে প্রচুর নকল পণ্য আসছে। এ ব্যাপারে সরকারের আরও কঠোর নজরদারির প্রয়োজন। ক্যাব সভাপতি বলেন, খাদ্যপণ্যের জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলে একটি সংস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত একটি আইনও করা হয়েছে। কিন্তু এই সংস্থাটির লোকবল স্বল্পতার কারণে এর সাংগঠনিক কাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। দ্রুত মানসম্মত খাদ্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করতে হবে। পাশাপাশি এখানে দক্ষ জনবল নিয়োগ দিতে হবে।

সর্বশেষ খবর