মিয়ানমারের কাছ থেকে যে ধরনের ব্যবহার আশা করেছিল বাংলাদেশ, তা পাওয়া যায়নি বলে হতাশা ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক। গতকাল ঢাকায় ইউএন উইমেন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের কাছ থেকে এরচেয়ে ভালো রেসপন্স (প্রতিক্রিয়া) আশা করেছিলাম। কিন্তু যেভাবে আমরা আলোচনা   শুরু করেছিলাম, এই মুহূর্তে ঠিক বলতে পারছি না, আমরা সন্তুষ্ট।’ পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের কোনো শর্টকাট নেই। আমাদেও দেশের মানুষ আটকা পড়লে আমরাও বলি যাচাই-বাছাই করতে হবে। কারণ, আন্তর্জাতিক নিয়মগুলো সেভাবেই তৈরি করা আছে। সবাইকে একসঙ্গে ধরে পাঠিয়ে দেওয়ার অবকাশ নেই। তিনি বলেন, যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বিষয়ে কাজ চলছে এবং এটি গঠনের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। সমস্যাটি দীর্ঘায়িত হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘায়িত শব্দটি আপেক্ষিক। আগে এ ধরনের প্রক্রিয়া ঘটনা ঘটার অনেকদিন পরে শুরু হতো, এখন দেড় মাসের মধ্যে প্রক্রিয়াটি শুরু করতে পেরেছি। এটি ভালো লক্ষণ। এটি কতটুকু গতিশীলতা পাবে আমরা দেখব। কিন্তু গতি আরও বাড়ানোর জন্য যে বহুপাক্ষিক চাপ রাখার কথা সেটি আমরা বজায় রেখেছি।’ চাপ বন্ধ হলে কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চাপ বন্ধ হলে কী হবে সে বিষয়ে জল্পনা-কল্পনা করাটা ঠিক হবে না। আর বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও দেখছি না। এই অবস্থায় এই সময় যে ধরনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রাখা দরকার সেটি সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে  ফেরত যাবে। মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেও রেজ্যুলেশন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে দেখা যাক, নিরাপত্তা পরিষদে কে কী অবস্থান নিচ্ছে, তারপর এ বিষয়ে কথা বলা যাবে। আমাদের প্রত্যাশা হলো সব দেশ মিলে একটি শক্ত ব্যবস্থা নেবে।’