বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইউনেসকোর স্বীকৃতি জাতির প্রত্যাশিত পাওনা : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো গোটা বাঙালি জাতিকে গর্বিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এটি জাতির প্রত্যাশিত পাওনা। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে পুরো বাঙালি জাতিকে স্বীকৃতি দেওয়া। গোটা বিশ্বে প্রায় ৩৫ কোটি বাঙালি রয়েছে। এই বাঙালিদের জন্য এটা একটা বিশাল অর্জন। গতকাল বিকালে রাজশাহী সড়ক ভবনে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতি হিসেবে এই স্বীকৃতি অর্জনে আমরা গর্বিত, অগণিত মানুষ খুশি। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের গ্রামে-গঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক সেই ভাষণ প্রচার শুরু হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক নেতাই ভাষণ দিয়েছেন। অনেকে দেখে দেখে বক্তব্য দিয়েছেন। অনেকে নোট নিয়েছেন। কিন্তু একাত্তরের উত্তাল মার্চে বঙ্গবন্ধু কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়াই বক্তব্য দিয়েছেন। সেই ভাষণ বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।

 সেই ভাষণ আজও বাঙালি জাতিকে প্রেরণা দেয়, উদ্দীপনা জাগায়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সড়কপথে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ দিতে যাওয়ার কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক সম্পূর্ণ অচল হয়ে গেছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার আচরণ হতে পারে না।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) ত্রাণ দিয়েছেন ১০ হাজার প্যাকেট। কিন্তু লাখ লাখ প্যাকেট ত্রাণ সরবরাহের পথটা বন্ধ করে দিলেন সাত দিনের জন্য। এটা কোনো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতার পরিচয় হতে পারে না।’ মিডিয়ায় কাভারেজ পাওয়ার জন্য খালেদার গাড়িবহরে হামলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিজেরা নিজেদের ওপর হামলা চালিয়ে যারা আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর দোষ চাপায়, তারা কী বলল না বলল তাতে আমাদের কিছুই আসে-যায় না।’ সভায় রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর