বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
মিয়ানমারের দাবি

রোহিঙ্গা ফেরতে দেরি করছে বাংলাদেশ!

প্রতিদিন ডেস্ক

পৈশাচিক দমন-পীড়নের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মিয়ানমার বাংলাদেশের ওপরই দোষ চাপিয়েছে। তারা বলছে, বাংলাদেশের জন্যই প্রত্যাবাসন কাজে দেরি হচ্ছে। খবর বিবিসি বাংলার।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি ইয়াঙ্গুন থেকে সরকারের এক শীর্ষস্থানীয় মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মিয়ানমার এই শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত থাকলেও ফেরানোর শর্ত কী হবে তা নিয়ে বাংলাদেশ টালবাহানা করছে। গতকাল মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির মুখপাত্র জ তেয় এএফপিকে বলেছেন, ‘আমাদের সরকার অনেক আগেই ঘোষণা করেছে আমরা (এই শরণার্থীদের) যে কোনো সময় ফেরত নিতে রাজি। কিন্তু এটা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কী সমঝোতা হবে— বাংলাদেশ এখনো সেটাই ভেবে চলেছে।’ গত ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইনের যে শরণার্থীরা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন, তাদের কোনো তালিকাও ঢাকা এখনো দেয়নি বলে ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন। জ তেয়কে উদ্ধৃত করে রয়টার্সও জানাচ্ছে, শুধু বাংলাদেশ রাজি হচ্ছে না বলেই শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরানোর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই ১৯৯০-র দশকের  গোড়ার দিকে যে ধরনের সমঝোতার আওতায় শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরানো হয়েছিল, এখনো সেই একই ধাঁচের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হোক। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো সেই সমঝোতার শর্তগুলো মানতেই প্রস্তুত নয়।’ এমনকি তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশ সারা বিশ্ব থেকে যে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে— সে জন্যই তাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ ঢিলেমি করছে বলেও তিনি দাবি করেছেন। জ তেয় বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সারা বিশ্ব থেকে ৪০ কোটি ডলারেরও বেশি আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। আমরা তো ভয় পাচ্ছি, যেভাবে তারা এই বিপুল পরিমাণ সহায়তা পাচ্ছে— তাতে করে না শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের পুরো প্রক্রিয়াই পিছিয়ে যায়। যেভাবে বিপুল পরিমাণ আন্তর্জাতিক ভর্তুকি পাচ্ছে তারা, তাতে হয়তো বাংলাদেশ ভাবছে— আদৌ শরণার্থীদের তারা প্রত্যাবাসন করবে কি না আমাদের এখন এটাই দুশ্চিন্তা।’

সর্বশেষ খবর