শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
সামাজিক অবক্ষয়ে সর্বনাশ

ভালোবাসা-বিয়ের ট্র্যাজেডি, নদীতে লাশ মিলল তরুণ-তরুণীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার পোস্তগোলায় প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মারা যাওয়া তরুণ-তরুণী স্বামী-স্ত্রী বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ দুজন হলেন ইমন (২০) ও তার স্ত্রী আনিকা (১৮)। গতকাল সকালে পোস্তগোলা সেতুর পূর্বপাশে বুড়িগঙ্গায় পাশাপাশি ভাসমান অবস্থায় লাশ দুটি পাওয়া যায়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. রবিউল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, ইমন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের সুলতানের ছেলে এবং আনিকা যাত্রাবাড়ীর অহিদ মোল্লার মেয়ে।

মৃত দুজনের পরিবারের বরাত দিয়ে এসআই জানান, বিয়ের আগে ইমন ও আনিকার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ইমনের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ ছিল। আর আনিকার পরিবার ছিল বিত্তবান। তাই তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি আনিকার পরিবার। এ কারণে সাত মাস আগে ইমন ও আনিকা পালিয়ে বিয়ে করেন। আনিকার পরিবার তাদের এ বিয়ে মেনে নেয়নি। তবে বৌকে ঘরে তোলেন ইমনের বাবা-মা। শ্বশুরবাড়ির আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় এবং নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে না পারায় বিয়ের এক মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়ি থেকে স্বামীকে নিয়ে আনিকা গাজীপুরে মামার বাড়ি চলে যান। আনিকার মায়ের বরাতে এসআই রবিউল জানান, মামার বাড়ির লোকজন প্রায়ই ইমনের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতেন। তারপরও তারা সেখানে প্রায় ৬ মাস ছিলেন। একপর্যায়ে আনিকাকে রেখে ২৯ অক্টোবর ইমন সায়েদাবাদে বাবা-মার কাছে ফিরে আসেন। কিন্তু তারা কোথায় একত্রিত হলেন এবং কখন সেতুর মাঝে গিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দিলেন সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি ইমনের মা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১ নভেম্বর দুপুরে বুড়িগঙ্গা সেতু থেকে ইমন ও আনিকা নদীতে লাফিয়ে পড়েন। এ ঘটনায় দুই পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং উভয় পরিবারের অনুরোধে লাশ দুটি বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এসআই রবিউল।

সর্বশেষ খবর