সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

মিয়ানমারকে শাস্তি নয় সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা-ওয়াশিংটন পার্টনারশিপ ডায়ালগে রোহিঙ্গা ইস্যু তিন সমঝোতা স্মারকের প্রস্তাব

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

মিয়ানমারকে শাস্তি নয় সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র

থমাস এ শ্যানন

মিয়ানমারকে কোনো শাস্তি দেওয়া নয় বরং মিয়ানমার যেন রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান করে সেই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকায় অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বাংলাদেশ-ওয়াশিংটন অংশীদারিত্ব সংলাপ শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি থমাস এ শ্যানন। তিনি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স এবং সেক্রেটারি টিলারসনও রাখাইনের সহিংসতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত ৩১ বার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও জানানো হয় যৌথ ব্রিফিংয়ে।

গতকাল বেলা ১১টায় দ্বিপক্ষীয় এই সংলাপে বসেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব এ কে এম শহীদুল হক এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির আন্ডার সেক্রেটারি থমাস এ শ্যানন। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে থমাস এ শ্যাননের কাছে প্রশ্ন ছিল এতবার পদক্ষেপ নেওয়ার পরও মিয়ানমার কেন কথা শুনছে না। জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ আছে কিন্তু সেটি আমরা ভাবছি না। আমরা এখন সমাধান চাই, কাউকে শাস্তি দেওয়া না। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন  দেশের কর্মকর্তারা মিয়ানমার সফর করেছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও মিয়ানমার নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আলোচনা করছি। তবে এসব পদক্ষেপের কারণে সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারে ঢোকার সুযোগ  পেয়েছে। রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনের অনুমতিও পাওয়া  গেছে। শ্যানন বলেন, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং আমি মিয়ানমার সঙ্গে সীমান্তে চলমান মানবাধিকার সম্পর্কে অনেকক্ষণ আলোচনা করেছি। উত্তর রাখাইনে হওয়া নৃশংসতার মাত্রা নিয়ে আমি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করেছি। পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অন্যতম সহযোগী। গত দুই মাসে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য ৩১টি পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা ছাড়াও আমরা আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক বিষয়ে আলোচনা করেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারের অংশীদারিত্ব সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৃষি, শিক্ষা ও ফরেন সার্ভিস একাডেমি সংশ্লিষ্ট তিনটি সমঝোতা স্মারক প্রস্তাব করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর