সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যা

জনি রিমান্ডে, মুখোমুখি করা হবে তিনজনকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলেকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি আল আমিন ওরফে জনিকে পুলিশের হেফাজতে ছয় দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জনির ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পুরোটা জানতে এবার জনিকে আগে গ্রেফতার শেখ আবদুল করিম এবং শারমিন মুক্তার মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে তদন্ত সূত্র। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টায় গোপালগঞ্জ থেকে জনিকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৩। মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল এ প্রতিবেদককে বলেন, আবদুল করিম এবং মুক্তা অনেক সন্দেহজনক আচরণ করছেন। প্রকৃত ঘটনা জানতে গ্রেফতার তিনজনকেই মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক আলী হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার সুষ্ঠু তদন্তসহ চাঞ্চল্যকর ও নৃশংস খুনের মূল রহস্য উদঘাটন ও খুনের সময় আসামির সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের সম্পর্কে তথ্য জেনে তাদের গ্রেফতার করার লক্ষ্যে আসামিকে হেফাজতে নিয়ে ১০ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পিপি হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। বলেন, নিঃসন্দেহে এটি অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ঠাণ্ডা মাথায় জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। সম্পত্তির কারণে মা ও স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে খুন করার মূল পরিকল্পনাকারী এই আসামি। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পলাতকদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। তদন্ত কর্মকর্তার প্রার্থিত মেয়াদে আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক। তবে আসামির পক্ষে শুনানিতে কোনো আইনজীবী ছিল না। পয়লা নভেম্বর কাকরাইলের পাইওনিয়র গলির ৭৯/১ নম্বর বাসার গৃহকর্তা আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওনকে (১৯) গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

সর্বশেষ খবর