নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রিয়াঙ্কা (১৪) নামে এক জেএসসি পরীক্ষার্থীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বেলা ১১টায় উপজেলার তারাব পৗরসভার বরাব কবরস্থান এলাকা থেকে  ওই পরীক্ষার্থীর লাশ  উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে মাসুম (২০) নামে  প্রিয়াঙ্কার প্রেমিককে আটক  করেছে পুলিশ। প্রিয়াঙ্কা উপজেলার বরাব এলাকার ডা. মহিউদ্দিনের মেয়ে। সে স্থানীয় হাজী আয়েত আলী ভুইয়া উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল। প্রিয়াঙ্কার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত এক বছর আগে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে মাসুম প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। মাসুম মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রিয়াঙ্কার পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। এ নিয়ে মাসুম ও তার পরিবারের সঙ্গে কয়েক দফা বিচার শালিসও হয়। গত শনিবার বিকালে প্রিয়াঙ্কা প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর গতকাল সকালে বাড়ির কাছেই তার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। প্রিয়াঙ্কার পরিবারের ধারণা পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই মাসুম প্রিয়াঙ্কাকে ফুসলিয়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করিয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে প্রিয়াঙ্কা হত্যা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, যেখানে প্রিয়াঙ্কার লাশ পাওয়া গেছে, এর পাশেই তাদের বাড়ি। পাশের বাড়ির দেয়ালে ছোপ-ছোপ রক্তের দাগ দেখা গেছে। পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির ছাদে প্রিয়াঙ্কার ব্যবহূত স্যান্ডেলের সন্ধানও মিলেছে। কারও কারও ধারণা, পরিত্যক্ত বাড়িতে বখাটে প্রেমিক প্রিয়াঙ্কাকে ধর্ষণের পর জবাই করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে ঠাণ্ডা মাথায় চলে গেছে। ঘটনা পরিদর্শনকারী উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি বিদঘুটে মনে হচ্ছে। মেয়েদের বাড়ির কাছেই এমন ঘটনা ভাববার বিষয়। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাঈল হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তবে তদন্ত চলছে আসল ঘটনা উদঘাটনের। জড়িত থাকার সন্দেহে মাসুম মিয়াকে আটক করা হয়েছে। মাসুম টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার ওমর আলীর ছেলে।