আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের ত্রাণের নামে সাত দিনের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অচল করে রেখেছিলেন। এরপরও সরকারের তরফ থেকে কিছু বলা হয়নি। কারণ দেরিতে হলেও অন্তত তিনি রোহিঙ্গাদের পাশে এসেছেন। কিন্তু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে সারা দুনিয়ার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করলেও বেগম জিয়া একটি ধন্যবাদও দেননি। গতকাল সকালে কক্সবাজারের একটি হোটেলে রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন সংগঠনের দেওয়া সোলার প্যানেল ও সোলার লাইটসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন সাড়ে ৫ হাজার সোলার লাইট, সাতকানিয়া সমিতি ৫০টি সোলার প্যানেল, চট্টগ্রাম স্বেচ্ছাসেবক লীগ ৩ লাখ টাকার চেক গ্রহণ করে জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেন মন্ত্রী। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে বেগম জিয়া পাশে থাকেননি। তার দলও পাশে থাকেননি। যে টুকু করেছেন তা দায়সারা গোছের। আর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে এক-দুই দিন থেকে চলে গেছেন ফটোসেসন করে। সারা দুনিয়া আজকের এই রোহিঙ্গা সংকটে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করছেন। আজকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, তুরস্ক, সৌদি আরব, ইরান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সবাই এক বাক্যে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসের সঙ্গে এই মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলা করেছেন। কিন্তু বিএনপির কাছে এসব কিছুই নয়। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ দলের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী পরে উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী ও থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেন।