বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে আওয়ামী লীগ তাতে অংশ নেবে না। বয়কট করবে। গতকাল দুপুরে যুবদল নেতা রফিকুল আলম মজনু ও সাঈদ হাসান মিন্টুর মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্মিলিত ছাত্র ফোরামের এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, যুগ্মমহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সম্মিলিত ছাত্র ফোরামের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে আদৌ যাব না, তা নয়। নির্বাচনে যাওয়ার জন্য যা যা অন্তরায় আছে, সেসব সমস্যার নিরসন করেই আমরা নির্বাচনে যাব। তবে বাংলাদেশে পরবর্তী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে আওয়ামী লীগ নির্বাচন বয়কট করবে। কারণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ কখনো জয়লাভ করতে পারবে না। এটা তারা ভালো করেই বুঝতে পেরেছে। গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি এখন শেখ হাসিনার জন্য গলার কাঁটা। ২০১৪ সালে যে কারণে আমরা নির্বাচনে যাইনি, সে কারণ বলবৎ রেখে আমরা নির্বাচনে যেতে পারি না। সুতরাং সেই কারণগুলোকে মোকাবিলা করে, নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করেই আমরা নির্বাচনে যাব। তবু শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয়। বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও নির্বাচনে বিশ্বাস করে না বলেই ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান সংসদে ঢুকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করলেন।