রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পদত্যাগে বাধ্য করেছে সরকার : মওদুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে সরকার। তাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। এতে গোটা জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের যেটুকু স্বাধীনতা ছিল, তাও এ সরকার নস্যাৎ করে দিল। জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মওদুদ আহমদ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে গতকাল দুপুরে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল এ সভার আয়োজন করে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নাকি পদত্যাগ করেছেন! বিচার বিভাগের ও আদালতের স্বাধীনতার জন্য আজ একটি কলঙ্কের দিন। তাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। বিচার বিভাগের যে সামান্য স্বাধীনতা ছিল, তাও নস্যাৎ করে দিয়েছে এ সরকার। তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায় সরকারের বিপক্ষে গেছে বলেই এ ঘটনা ঘটল। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া রায়ের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে তারা এটা করল। অথচ সরকার রিভিউ আবেদন করতে পারত। সরকার সমন্বিতভাবে সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষতি করল। সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ঐতিহ্য নিয়ে আমরা যে গর্ব করতাম, তা আর থাকল না। সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সরকারের  কোনো লাভ হলো কিনা জানি না, তবে গোটা জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হলো। বিচার বিভাগের মর্যাদা আমরা উদ্ধার করতে পারব কিনা সন্দেহ আছে। মওদুদ আহমদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে সাপ্তাহিক জামিন দেওয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলছে। সরকার এটা করে নেত্রীকে হেয়প্রতিপন্ন করেছে। সাপ্তাহিক জামিন দেওয়ার বিষয়টি অশোভনীয় আচরণ। চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডন গেলেন, কিন্তু তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলো। আবার দেশে ফিরে তিনি আদালতে হাজিরা দিয়ে সাপ্তাহিক জামিন পেলেন। বিষয়টি কেমন হলো? আমার ৫০ বছরের আইন পেশায় আমি এ ধরনের ঘটনার কথা শুনিনি। আসলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই বলেই এমনটি হচ্ছে দেশে।

সর্বশেষ খবর