রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পৃথক আবাসভূমি ছাড়া রোহিঙ্গা সমাধান নেই

আহমদ সেলিম রেজা

পৃথক আবাসভূমি ছাড়া রোহিঙ্গা সমাধান নেই

কানাডিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য আলেকজান্দোরা ম্যান্ডেজ বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সহসা সমাধানযোগ্য নয়। মিয়ানমার সরকার তাদের নাগরিকত্ব দেবে বলেও মনে করি না। সবাই তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু তারা ফিরে কোথায় যাবে? ওদের ঘর নেই, নাগরিকত্ব নেই, শিক্ষার অধিকার নেই, চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ নেই। আমার বিবেচনায় পৃথক আবাসভূমি ছাড়া রোহিঙ্গা সংকটের            সমাধান নেই। সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৬৩তম সিপিসি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী কানাডার এই আইন প্রণেতা গত ৬ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দে  বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। কানাডার লিবারেল পার্টির হয়ে এবার তিনি দ্বিতীয় দফায় ব্রোসসার্ড সেইন্ট ল্যামনার্ট এলাকা থেকে হাউজ অব কমন্সের আইন প্রণেতা নির্বাচিত হন। তিনি কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন-সিপিএর নির্বাহী কমিটিতে কানাডার প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি ফেডারেল লিবারেল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্রোসসার্ড-এর সভাপতি। রাজনীতিতে আসার আগে তিনি কানাডায় শরণার্থীদের আশ্রয় ও নতুন অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করেছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়ে কানাডা অবস্থান কী তা জানতে চাইলে আলেকজান্দোরা ম্যান্ডেজ বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা একটি ট্রমাটিক ও জটিল সমস্যা। এ সমস্যার তাত্ক্ষণিক কোনো সমাধান নেই। এ বিষয়ে কানাডা সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। জাতিসংঘেও এ বিষয়ে আমরা প্রস্তাব এনেছি। দীর্ঘ মেয়াদি এই সমস্যার সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে কানাডা সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে একজন বিশেষ দূত নিয়োগ দিয়েছে। তিনি এরমধ্যে বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলে এখন মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে গেছেন। এছাড়া আমরা রিফুইজি হিসেবে রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে কানাডায় আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একথা আমরা বাংলাদেশ সরকারকেও জানিয়েছি। এছাড়া তাদের বর্তমান চাহিদা পূরণে কানাডা নানাভাবে সরকারকে সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশ সরকার তাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিকতা ও উদারতার ক্ষেত্রে বিশ্বে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পৃথক বাসভূমি কীভাবে সম্ভব-জানতে চাইলে তিনি বলেন, কূটনৈতিকভাবেই আন্তর্জাতিক বিশ্বকে সে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। জাতিসংঘের কনভেনশন অনুযায়ী তারা রিফুইজি। বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রিফুইজি সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। জাতিসংঘের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে কানাডাসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলো কোনো উদ্যোগ নিতে পারে কী না-এ প্রসঙ্গে আলেক্সজান্ডরা ম্যান্ডেজ বলেন, আন্তর্জাতিক বিশ্ব কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। কানাডাও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে।

সর্বশেষ খবর