সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

শুল্ক কমানোয় চালের বাজার স্বাভাবিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

শুল্ক কমানোয় চালের বাজার স্বাভাবিক

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, চালের দাম আকস্মিকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। এর ফলে চালের বাজার এখন স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তিনি গতকাল জাতীয় সংসদে এ কথা জানান। প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, একটা মিথ্যা সংবাদের কারণে চালের দাম বেড়ে যায়। যারা সুযোগ নিয়ে মজুদ করে এই দাম বাড়িয়েছেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। তিনি বলেন, চালের বাজার এখন স্বাভাবিক রয়েছে। শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত আমরা আগেই দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত পৌঁছাল ১৫ দিন দেরিতে। শুল্ক হ্রাস হলেই আমদানি করে লাভবান হবেন— এই আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা এ সময় আমদানি করা চালের ট্রাক বর্ডারে আটকে রাখে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, চাল আমদানির ওপর কোনো সময়ই শুল্ক ছিল না। যখন কৃষক চালের বাথানে ন্যায্য মূল্য পায়নি, তখন আমাদের কাছে আমদানি নিরুৎসাহিত করার আবেদন আসে। দেশীয় পণ্য সুরক্ষার জন্য তখন ১০% শুল্ক আরোপ করা হয়। কিন্তু তাতেও আমদানি বন্ধ না হওয়ায় পরবর্তীতে তা আরও বাড়িয়ে ২৮% পর্যন্ত করেছি। এতে কৃষকরা খুশি হয়েছিলেন, তারা ন্যায্য মূল্য পেয়েছেন। কিন্তু হাওরে আকস্মিক বন্যার কারণে আমাদের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়। পরে উত্তরাঞ্চলে বন্যায় উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চাল উৎপাদনে আমাদের টার্গেট ছিল ৩৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন। কিন্তু বন্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সে টার্গেট পূরণ হয়নি। ২০ মিলিয়ন চালের ঘাটতি হয়েছে। বন্যার কারণে উৎপাদন কম হয়েছে, বিদেশিরা সেটা দেখেছে। ফলে বাংলাদেশের চাল প্রয়োজন বুঝে তারাও দাম বাড়িয়ে দেয়। এরপর আমরা শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেই। সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮২ ভাগ বর্তমানে তৈরি পোশাক। এই ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সরকার তৈরি পোশাকের নতুন বাজার অনুসন্ধানসহ নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ ও সুসংহত করার লক্ষ্যে ব্রাজিল, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, চিলি ও এবং রাশিয়াসহ অন্যান্য অগ্রসরমান দেশে বাণিজ্য প্রতিনিধি দল পাঠানো হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর