মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঢাকায় মাদ্রাসাছাত্রকে গলা কেটে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলিস্তানের আহাদ পুলিশ বক্সসংলগ্ন একটি মাদ্রাসার ভিতরে আবদুর রহমান ওরফে জিদান (১২) নামে এক ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল ভোরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় একই মাদ্রাসার ছাত্র আবু বকরকে সন্দেহ করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। শিক্ষার্থী ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলছে, বিভিন্ন কারণে জিদানের সঙ্গে আবু বকরের ঝগড়া লেগেই থাকত। এ কারণেই হয়তো তাকে খুন করা হয়েছে। তবে ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছে পুলিশ। জিদানের বাবার নাম হাফেজ উদ্দিন। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার জালেরশ্বরে। গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে জিদানের লাশ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। মাদ্রাসার হাফিজি বিভাগের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মইনুদ্দিন জানান, ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি তার কক্ষের পাশের টয়লেটে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি টয়লেটের কাছের হাউসের পাশে জিদানের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সবাইকে তিনি ডেকে তোলেন। কাছে গিয়ে জিদানকে শ্বাসনালি কাটা অবস্থায় পান। পরে পল্টন থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পল্টন থানার এসআই রেজাউল আলম জানান, ওই মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ রাফসান ও শিশু পার্ক কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ মোজাম্মেলের সহায়তায় জিদানকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভোর সোয়া ৪টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিদানকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের মতিঝিল বিভাগের এডিসি ফরিদ উদ্দিন জানান, ‘জিদানকে আবু বকর হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে জানা যায়নি। আবু বকরকে ধরতে পারলে হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যাবে। আবু বকরের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। তার বয়স ১৬। তাকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।’

সর্বশেষ খবর