শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সময়ই বলবে রোহিঙ্গাদের ভাগ্যে কী আছে

জুলকার নাইন

সময়ই বলবে রোহিঙ্গাদের ভাগ্যে কী আছে

লে. জে. (অব.) মইনুল ইসলাম

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড—বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম মনে করছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ভাগ্যে আসলে কী আছে তা সময়ই বলে দেবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) এবং সেনা সদর দফতরের সাবেক চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএফ) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে যে নতুন সমঝোতা হয়েছে তাতে অন্য সবার মতো আমিও আনন্দিত এবং এটিকে স্বাগত জানাই। তবে অতীত অভিজ্ঞতা থেকে এটা বলা যায়, এখনো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলার সময় আসেনি। সময়ই বলে দেবে রোহিঙ্গাদের ভাগ্যে কী আছে।’ রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনায় লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে বাইরে থাকা এমপিদের সংসদে ফেরার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এটা ছিল একটা ট্র্যাপ। আন্তর্জাতিক চাপ কমনোর জন্য পাকিস্তান এটা করেছিল। সেটাকে ট্র্যাপ বুঝতে না পেরে যারা এসেছিলেন, তাদের গুলি করে মারা হয়েছে কিংবা পাকিস্তানে নিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। আবার পরে বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নেওয়ার বিষয়েও পাকিস্তান লোক-দেখানো সম্মত হয়েছিল। সেটিও শেষ পর্যন্ত আর হয়নি। বরং ওদের বোঝা বাংলাদেশকেই বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তাই মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় আলোচনাতেই সব আস্থা রাখা বোকামি হবে। বরং অবশ্যই জাতিসংঘকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, ‘এখন লোক-দেখানো পাঁচ হাজার লোক নিয়ে গিয়ে মিয়ানমার যদি আর না নেয়, তাহলে আমরা কী করব। আবার যাদের নিয়ে গেল, তাদের যদি মেরে ফেলা হয়, তখন তো আবার আমরাই দোষী হব। মানে সব দোষ আমাদের ওপরই আসবে। জায়গা না দিলেও আমরা দোষী, জায়গা দিলেও আমরা দোষী। বিশ্বসমাজও তখন বলবে, তোমরা দ্বিপক্ষীয়ভাবে এটা করেছ। তাই দায়দায়িত্ব সব তোমাদের। তাই আমি মনে করি, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা বা পদক্ষেপ যে কোনো কিছুই এখন জাতিসংঘকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয়ভাবে করা প্রয়োজন।’

সর্বশেষ খবর