সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
বিডিআর হত্যাযজ্ঞ

৩০ ঘণ্টায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যার বর্বরতা ইতিহাসে আর নেই

পিলখানা হত্যার পর্যবেক্ষণ, রায়ে একমত তিন বিচারপতি, আজ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ ঘণ্টায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যার বর্বরতা ইতিহাসে আর নেই

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় উদ্ভূত পিলখানা হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত ১৫২ আসামির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন, আপিল ও জেল আপিলের ওপরে হাই কোর্টে রায় ঘোষণা শুরু হয়েছে। তবে রায়ের মূল অংশ আজ ঘোষণা করা হবে। হাই কোর্ট ঐকমত্যের ভিত্তিতেই রায়ের মূল অংশ ঘোষণা করবে। পর্যবেক্ষণে ভিন্নমত থাকলেও আদেশের অংশে বেঞ্চের তিন বিচারপতিই একমত হয়েছেন। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ আজও এ মামলার রায় ঘোষণা করবে। পর্যবেক্ষণে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, পিলখানার ঘটনায় যত সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ও এতসংখ্যক সেনা কর্মকর্তা নিহত হননি। বর্বরোচিত ও নজিরবিহীন এ ঘটনার কলঙ্ক বিডিআরকে বহুকাল বহন করতে হবে। এদিকে পিলখানা হত্যা মামলাটিকে পৃথিবীর ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলায় কতজন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে, কতজন আসামির যাবজ্জীবন বহাল থাকবে, কতজন খালাস পাবেন এসব দণ্ডের ব্যাপারে তিন বিচারপতিই একমত হয়েছেন। মামলার রায় ১০ হাজারের বেশি পৃষ্ঠার। এর মধ্যে সহস্রাধিক পৃষ্ঠায় পর্যবেক্ষণ। এর আগে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে রায় ঘোষণা শুরু হয়। রায় ঘোষণার সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজউদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম জাহিদ সারোয়ার কাজলসহ বেশ কয়েকজন আইন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আসামি পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, এস এম শাহজাহান, আমিনুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন মোল্লা, শামীম সরদার প্রমুখ। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ছিলেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ। রায় শুনতে আদালতের বাইরে নিহতদের পরিবারের বেশ কিছু সদস্য এবং আসামিদের আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। প্রথমে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ সদস্য বিচারপতি মো. শওকত হোসেন রায় প্রদান শুরু করেন। পরে দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ সদস্য বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী পর্যবেক্ষণ দেন। তিনি বিকাল পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ দেন। বিকাল ৪টায় এ মামলার রায় ঘোষণা আজ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। আজ সকালে বেঞ্চের কনিষ্ঠ সদস্য বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার তার পর্যবেক্ষণ দেবেন। এরপর মূল রায় ঘোষণা করা হবে। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন নিজ পর্যবেক্ষণে বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশে একটা ভয়াবহ ও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়। ওই দিন ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। এমনকি বিডিআর (বিজিবি) মহাপরিচালকের স্ত্রীও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ও এতসংখ্যক সেনা কর্মকর্তা নিহত হননি। এটি ছিল একটি মাস কিলিং। ওই দিন দেশের সূর্যসন্তানদের হত্যা করা হয়, যাদের পদমর্যাদার দিক দিয়ে ওই পর্যায়ে আনতে সময় লেগেছে। আজ তাদের স্মরণ করে তাদের বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘আমাদের দেশের বিচার বিভাগের জন্য এটা একটি ঐতিহাসিক রায়। এ মামলাটি আমাদের আদালতে আসার পর ৩৭০ কার্যদিবস শুনানি গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার ৮৫০ জন আসামি বা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরাই এ রায় শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন না, দেশের অনেকেই এ রায় জানতে চান। এ জন্য কেউ কেউ নির্ঘুম রাত কাটাবে। তাই আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। এটা অনেক বড় রায়। আমরা একটা ভালো রায় দেওয়ার চেষ্টা করছি। এ কারণে একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আমাদের পর্যবেক্ষণ আলাদা থাকতে পারে। কিন্তু গন্তব্য অভিন্ন। রায়ের আদেশের অংশের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। এ রায় ঘোষণার জন্য আমাদেরও রক্তচাপ বেড়ে গেছে।’ বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘যুগান্তকারী এ মামলায় দণ্ড ও সাজা প্রদানে আমরা তিনজন বিচারক একমত হয়েছি। নজিরবিহীন ঐতিহাসিক এ মামলায় পক্ষদের যুক্তিতর্ক, প্রায়োগিক আইনের ব্যাখ্যাসহ উপস্থাপিত উচ্চ আদালতের নজিরগুলোর প্রাসঙ্গিকতা, মামলার প্রেক্ষাপট, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, ঘটনার গাম্ভীর্য, আসামি ও সাক্ষীর সংখ্যা, তদন্ত কার্যক্রম ও তর্কিত রায়ের বিশ্লেষণসহ দণ্ড ও সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনুভূতি ও সার্বিক পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি। ফৌজদারি অপরাধজগতের সর্ববৃহৎ এ মামলায় বিরামহীন ৩৭০ কার্যদিবস শুনানি শেষে রায় ঘোষণার ক্ষণটি আমাদের বিচারিক জীবনের অত্যন্ত স্মরণীয় ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’ তিনি বলেন, পিলখানায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৭ জন মেধাবী ও প্রতিভাবান অফিসারসহ ৭৪ জন মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নারী, শিশুসহ গৃহকর্মীকেও রেহাই দেওয়া হয়নি। অভিযুক্তরা বিদ্রোহের জন্য অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, নৃশংস হত্যাকাণ্ড, অমানবিক নির্যাতন, বাড়ি ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, অস্ত্রাগার ভেঙে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট, গ্রেনেড বিস্ফোরণ, সশস্ত্র মহড়ার মাধ্যমে সন্ত্রাস ও জনজীবনে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি, লাশগুম, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের চক্রান্তসহ নানা জঘন্য অপরাধ করেন। বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতেও দেশের ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তা নিহত হননি। মামলার শুনানিতে আমরা বারবার বিস্মিত হয়েছি যে, মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে তৎকালীন ইপিআরের জওয়ানরা সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। প্রথম দফায় সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে রণাঙ্গনের সম্মুখসমরে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বীরত্বের সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে দেশকে শত্রুমুক্ত করার গৌরব অর্জন করেছে। রাষ্ট্রের এই প্রাচীন সুশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠানটি দেশের সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে তাদের যোগ্যতা ও কৃতিত্বে দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে। সেই গৌরবগাথা ইতিহাস, পেশাদারির ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করে বিডিআরের জওয়ানরা ঐদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনীর ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেন। এর মাধ্যমে দেশের আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের চক্রান্তে লিপ্ত হন তারা। দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়াসহ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর প্রত্যক্ষ হুমকির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে এই নারকীয় নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেদের ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছেন। এই কলঙ্কের চিহ্ন তাদের বহুকাল বহন করতে হবে। পিলখানার হত্যাকাণ্ড একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এত অল্প সময়ে একসঙ্গে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে মোট ৫৫ জন সেনা কর্মকর্তা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হন। আফ্রিকার রুয়ান্ডা ও কঙ্গোর গৃহযুদ্ধে ১৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার নজির আছে। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বাধিক সেনা কর্মকর্তা নিহতের ঘটনা ঘটেছিল ইন্দোনেশিয়ায়। সেখানে ১৯৬৭ সালে চীনপন্থি কমিউনিস্টদের সমর্থনে সংঘটিত সাত দিনের বিদ্রোহে ১০০ সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছিলেন। কিন্তু পিলখানার ঘটনা সেটিকেও হার মানিয়েছে। কারণ এখানে মাত্র ৩০ ঘণ্টার বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এটি অবর্ণনীয়, বর্বরোচিত ও নজিরবিহীন।’

বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, পিলখানা ট্র্যাজেডিও বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা পূর্বাপর আলোচনা ও পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নের লক্ষ্যে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত বাহিনীকে ধ্বংসের চক্রান্ত রুখে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রনায়কোচিত গৃহীত দৃঢ় পদক্ষেপ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। অন্যদিকে আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা, দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানের প্রতি আঘাত বিশ্বাস ও অবিচল আস্থা রেখে চরম ধৈর্যের সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার মাধ্যমে পেশাদারির পরিচয় দিয়ে সেনাবাহিনী দেশবাসীর ভালোবাসা অর্জন করেছে।

বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী পর্যবেক্ষণে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের মূল লক্ষ্য ছিল সেনা কর্মকর্তাদের জিম্মি করে যে কোনো মূল্যে দাবি আদায় করা। বাহিনীর চেইন অব কমান্ড ধ্বংস করে এই সুশৃঙ্খল বাহিনীকে অকার্যকর করা, সেনাবাহিনী ও বিডিআরকে সাংঘর্ষিক অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করা; এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নবনির্বাচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্থিতিশীলতার মধ্যে ফেলা ইত্যাদি। বিডিআর বিদ্রোহ একটি নবনির্বাচিত সরকারকে মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে, যা ছিল গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের জন্য প্রচণ্ড হুমকিস্বরূপ। বিডিআর সদস্যরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিদ্রোহের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।

পিলখানা হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত ১৫২ আসামির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন, আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষ হয় ১৩ এপ্রিল। হাই কোর্টে ওই দিন থেকে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। আসামির সংখ্যার দিক দিয়ে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে হাই কোর্টে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি। ওই বছরের ১৮ জানুয়ারি শুনানি শুরু হয়। মোট ৩৭০ দিন শুনানি হয় হাই কোর্টে। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান ৭৪ জন। পরবর্তী সময়ে পরিবর্তন করে সীমান্তরক্ষী এ বাহিনীর নাম রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর পিলখানা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন অস্থায়ী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। রায়ের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাই কোর্টে আসে। এ ছাড়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল ও জেল আপিল করে আসামি পক্ষ। এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষও খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে এবং সাজা বাড়াতে আপিল করে।

সর্বশেষ খবর