শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

চালের দাম ৪০ টাকার মধ্যে রাখার চেষ্টায় সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

চালের দাম ৪০ টাকার মধ্যে রাখার চেষ্টায় সরকার

আবুল মাল আবদুল মুহিত

চালের দাম ৪০ টাকার মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি উল্লেখ করেন, ‘শেষ ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে শুধু এই বছরেই আমরা খাদ্য সমস্যায় পড়েছি। অসময়ের বন্যার কারণে এবার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তাই চালের দাম বেড়ে গেছে।’ গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘অ্যাচিভিং এসজিডিস : এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক পলিসি ডায়ালগে তিনি এ কথা বলেন। চালের দাম কমানোর বিষয়টিকে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এরই মধ্যে চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে চালের দাম কমছে। আমরা বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।’ মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সময় আমরা অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে চাঙ্গা করার নীতি গ্রহণ করি, যাতে বাজারে পণ্যের সরবরাহ কমে না যায়। এ নীতি অবলম্বন করে আমরা দারুণ সফলতা পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক দশক ধরে আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশে রয়েছে। আর শেষ তিন বছরে আমরা ৭ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। আমরা সৌভাগ্যবান। কারণ আমাদের রপ্তানি “সাফার” করছে না। ধারাবাহিকভাবে আমাদের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।’ মুহিত বলেন, ‘বাংলাদেশে ৩০ মিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্যসীমায় রয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন করা আমাদের প্রধান নীতি। দারিদ্র্যের হার ৭ থেকে ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা খুব ভালো। বাংলাদেশের জন্য এটা সম্ভব। কারণ, শেষ আট বছরে আর প্রতি বছরই ১ শতাংশ করে কমেছে। আমার ধারণা, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য বিমোচন করতে পারব।’

আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে এ পলিসি ডায়ালগের আয়োজন করা হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ভারপ্রাপ্ত সচিব মনোয়ার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ইফাদের ভাইস প্রেসিডেন্ট পল সি উইন্টার। ইআরডি থেকে জানানো হয়, ১৯৭৮ সাল থেকে ৩২টি প্রকল্পে বাংলাদেশে ইফাদ সরাসরি ৭১ কোটি ৭২ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে।

এর উপকার ভোগ করেছে ১ কোটি ৭ লাখ পরিবার। বর্তমানে ইফাদ বাস্তবায়নাধীন ৬টি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। বিনিয়োগে ইফাদের সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, নেদারল্যান্ডস সরকার, স্পেন সরকার, জার্মানির কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, কোরিয়া, নোরাড, ড্যানিডা, ইউএসএইড এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও দেশি এনজিও রয়েছে।

সর্বশেষ খবর