সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

নির্বাচন অবাধ করার দায়িত্ব প্রশাসনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন অবাধ করার দায়িত্ব প্রশাসনের

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন অবাধ করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব প্রশাসনের। নির্বাচন কর্মকর্তারা আপনাদের সাহায্য, সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল। এর বাইরে কিছু নেই। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, একটি বিষয়ে সতর্ক করে বলতে চাই, আপনারা যেমন সাহায্য-সহযোগিতা করেন, আবার যদি কেউ ব্যত্যয় ঘটান, যদি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে গাফিলতি করেন, তাহলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। আমাদের হাতে যে আইন আছে, সেই আইনে প্রত্যেকের দায়িত্ব নির্ধারিত আছে। সেই নির্ধারিত দায়িত্বের ব্যত্যয় যদি কেউ করেন তাহলে আমরা আইনের মাধ্যমেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কমিশন এ ব্যাপারে একটুও আপস করবে না। সিইসি বলেন, আপনাদের সহযোগিতায় যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তাতে আমরা খুশি। আমাদের লক্ষ্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া। আমাদের নির্বাচনী যে অঙ্গীকার, নির্বাচনে আপনাদের যে ভূমিকা তার সফল বাস্তবায়ন হবে এটা আপনাদের কাছে আমরা প্রত্যাশা করি। নির্বাচন অবাধ হবে, গ্রহণযোগ্য হবে, বিশ্বাসযোগ্য হবে এবং স্বচ্ছ হবে। স্বচ্ছতা মানে আমাদের কর্মকাণ্ডগুলো পরিষ্কার করা, দৃশ্যমান করা।  আমাদের কোনো কাজ গোপন নয়। গোপন শুধু গোপন ভোটকক্ষে গিয়ে ভোটারদের ভোট দেওয়া। এটা ভোটারদের বিষয়। তারা কাকে ভোট দেবেন। এ ছাড়া নির্বাচন কর্মকাণ্ডে আপনার আমার সব কাজ সবাই দেখতে পারবে, বুঝতে পারবে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কোনো বাধা ছাড়াই ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং ভোট দিয়ে তারা নিরাপদে বাসায় ফিরে যাবে এটা নিশ্চিত করতে হবে। সব প্রার্থী যাতে সমান সুযোগ পান তার ব্যবস্থা করতে হবে তার ওপরও জোর দেন সিইসি। সিইসি আরও বলেন, ভোট গণনার সময় যাদের দেখার দরকার তারা দেখবেন। তা ছাড়া ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শুরুর সময় ব্যালট পেপার ও বাক্স সবাইকে দেখাতে হবে। যাতে কারও কোনো সন্দেহের অবকাশ না থাকে।

সর্বশেষ খবর