রাষ্ট্রের তিন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় জরুরি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রতিটি বিভাগের সফলতার জন্য পারস্পরিক আস্থা অপরিহার্য। তিনি বলেছেন, উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্র ও সুশাসনের বিকল্প নেই। আর গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে সম্পর্ক ও সমন্বয় খুবই জরুরি।

 তবে মনে রাখতে হবে এক্ষেত্রে কেউ কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরং সহযোগী। গতকাল রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্ট দিবসের অনুষ্ঠানে একথা বলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। খবর বিডি নিউজ। সুপ্রিম কোর্ট জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্সের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিটি বিভাগের সফলতার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা ও আস্থা একান্ত অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে এক বিভাগের কর্মকাণ্ডে যাতে অন্য বিভাগের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয় বা জাতীয় স্বার্থ বিঘ্নিত না নয়। আইনের শাসন, জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার রক্ষা এবং অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের ভূমিকা খুবই তাত্পর্যপূর্ণ। একটি শক্তিশালী বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমেই সমাজ পরস্পর সংযুক্ত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টকে ‘জুডিশিয়াল রিভিউ’ এর ক্ষমতা সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে বলেন রাষ্ট্রপতি। বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের রক্ষক এবং চূড়ান্ত ব্যাখ্যা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিল বিভাগ, সংবিধান ও আইনের যে ব্যাখ্যা প্রদান করে তা দেশের সব আদালতের জন্য বাধ্যতামূলক। একইভাবে হাই কোর্ট বিভাগের আইনের ব্যাখ্যা অধস্তন সব আদালতের জন্য বাধ্যতামূলক। সুপ্রিম কোর্টের রয়েছে জুডিশিয়াল রিভিউয়ের ক্ষমতা। কিন্তু এই গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। তথ্য-প্রযুক্তির সব সুবিধা ব্যবহার করে মামলা ব্যবস্থাপনায় আধুনিকতা আনার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপতি। প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনরত বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, আইনমন্ত্রী আনিসুল হল, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জয়নুল আবেদীন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার প্রমুখ। এর আগে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে একটি বকুল গাছের চারা রোপণ করেন।