সোমবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
মূল প্রতিপক্ষ কুয়াশা

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ দিয়ে শুরু টুর্নামেন্ট

আসিফ ইকবাল

শুধু ঢাকা শহর নয়, গোটা বাংলাদেশ ডুবে আছে কুয়াশায়। সকাল সাড়ে ৯টায় চন্ডিকা হাতুরাসিংহের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কা যখন পা রাখে মিরপুর স্টেডিয়ামে, তখন পাঁচ গজ দূর থেকেও পরিষ্কারভাবে চেনা যাচ্ছিল না কাউকে। সকাল সাড়ে ১১টায় মাশরাফি, সাকিব, তামিমরা প্রবেশ করেন স্টেডিয়ামে। তখনো আকাশে খোঁজ নেই সূর্যের। দেড়টায় প্রবেশ জিম্বাবুয়ের। স্বাভাবিক নিয়মে সূর্য তখন মধ্যগগনে থাকার কথা! কিন্তু কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের আলো আলোকিত করতে পারেনি মাঠ। দুপুর ৩টা পর্যন্ত অনুশীলন চলেছে স্টেডিয়াম এবং স্টেডিয়াম লাগোয়া একাডেমি মাঠে। ঘাম ঝরিয়েছেন তিন দলের ক্রিকেটাররা। তারপরও উপেক্ষা করতে পারেননি তীব্র শীতকে। যদিও এরকম বৈরী আবহাওয়াতেই খেলতে হবে টুর্নামেন্ট। সব মিলিয়ে কনকনে বাতাস আর ঠাণ্ডা আবহাওয়াই এখন তিন জাতির টুর্নামেন্টের মূল প্রতিপক্ষ। তীব্র শীত এবং কুয়াশায় ঢাকা কন্ডিশনকে জয় করতেই আজ দুপুর ১২টায় মিরপুর স্টেডিয়ামে তিন জাতির টুর্নামেন্টের সূচনা ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ভালোমন্দ মিলিয়েই ২০১৭ সাল কাটিয়েছে টাইগাররা। ২০১৫ সাল থেকে সাফল্যের গ্রাফটা যেভাবে তরতরিয়ে উপরে উঠেছে, গত বছর গ্রাফটা ঠিক মানিয়ে যায়নি তার সঙ্গে। যদিও অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কার মতো দুই ক্রিকেট পরাশক্তিকে হারিয়েছে টেস্টে। সেমিফাইনাল খেলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো টুর্নামেন্টে। ক্রিকেটপ্রেমীদের ঊর্ধ্বমুখী নজর থেকে এক-দুইবার হোচট খেলে, সব গেল গেল বলে হাহাকারের সৃষ্টি হয় ক্রিকেট পাড়ায়। তারপরও গত বছরের ভালোমন্দের আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাশরাফি বাহিনী আজ শুরু করছে নতুন বছর। বছর শুরু হচ্ছে টাইগারদের তিন জাতির টুর্নামেন্ট দিয়ে। টুর্নামেন্টের বাকি দুই দল শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে। ফাইনাল ২৭ জানুয়ারি। তিন দল এর আগে সর্বশেষ ২০০৯ সালে টুর্নামেন্ট খেলেছিল একত্রে, এই মিরপুরেই। সেবার অবশ্য টুর্নামেন্ট ছিল সিঙ্গেল লিগ। এবার ডাবল লিগ। নতুন বছরের প্রথম টুর্নামেন্ট হলেও আলাদা নজর কেড়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। গত অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচ ছিলেন হাতুরাসিংহে। হঠাৎ দায়িত্ব ছেড়ে তিনি এখন জন্মভূমি শ্রীলঙ্কার কোচ। জিম্বাবুয়ের কোচ হিথ স্ট্রিকও দুই বছর আগে বোলিং কোচ ছিলেন মাশরাফিদের। ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম বাংলাদেশ খেলছে কোচ ছাড়া। তাই ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর থাকছে টুর্নামেন্ট নিয়ে। বন্ধু কিংবা শত্রুত্বের টুর্নামেন্টও বলা যায়! এক সময় বাংলাদেশের প্রবল প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। এখন ক্ষয়ীষ্ণু শক্তির বলে ম্যাচগুলোর ফল একতরফা। পরিসংখ্যান বলছে আফ্রিকান প্রতিনিধিদের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে মাশরাফিরা। দুই দল ওয়ানডেতে পরস্পরের প্রতিপক্ষ হয়েছে ৬৭ বার। তাতে ৩৯ বার হেসেছে বাংলাদেশ। বিপরীতে জিম্বাবুয়ে হাসি মুখে মাঠ ছেড়েছে ২৮ বার। আজ কে হাসবে কুয়াশার চাদরে ঢাকা মিরপুরে?

সর্বশেষ খবর