সোমবার, ২২ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিএনপির রূপরেখা দেখার অপেক্ষায় আছি : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির রূপরেখা দেখার অপেক্ষায়  আছি : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেও বলেছেন, বিএনপির নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা চেয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন কোনো রূপরেখা দেবেন না। রূপরেখা দেবে তো বিএনপি। তারা কী রূপরেখা দেয় আমরা সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। গতকাল সচিবালয়ে সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত তাত্ক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে তাদের সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন আছে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো প্রয়োজন দেখছি না। তাদের কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য সংলাপ করতে হবে? নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির অধিকার। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কিছুই করার নেই। বিএনপি নেতাদের বক্তব্য শুনে মনে হয়, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিরপেক্ষ নয়। কিন্তু আপনারা (সাংবাদিকরা) বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের মতো জায়গায় ইসি নিরপেক্ষ নির্বাচন করেছে। তারপরও যদি ইসিকে নিরপেক্ষ মনে না হয় তাহলে আমাদের কি করার আছে?

বিক্ষোভ নয়, আনন্দ মিছিল : আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহসম্পাদক পদ নিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা বিক্ষোভ করেননি বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত সব সংবাদ ভুল। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, আমি একজন মুসলমান, আমি কি নামাজও পড়তে পারব না। আমি দরজা বন্ধ করে একাকী নামাজ পড়লেও আপনারা লিখে দেন আমি জানি কী করছিলাম। এগুলো তো সুস্থ সাংবাদিকতা নয়। আপনাদের তো অবাধ স্বাধীনতা আছে। নিউজগুলো প্রকাশ করার আগে আপনাদের উচিত সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুযায়ী একটু যাচাই-বাছাই করে নেওয়া। তাহলে আর ভুল বোঝাবুঝি হয় না। কালকের যে ঘটনা নিয়ে আপনারা সংবাদ করেছেন, আমার জানামতে সেখানে কোনো সাংবাদিক ছিলেন না। তাহলে আপনারাই বলেন, অনেক পত্রিকায় দেখলাম একই ধরনের সংবাদ। এগুলো দুঃখজনক। তাহলে মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে যে বিক্ষোভের ছবি ছাপা হয়েছে সেটা কিসের? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা বিক্ষোভের ছবি নয়। তারা আনন্দ উল্লাস করছিল। তিনি বলেন, আমি পাঁচ বছর জেল খেটেছি। টানা নয় বছর মন্ত্রী, দলের সাধারণ সম্পাদক। এই অবস্থায় এসে আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। দলের জন্য দেশের জন্য সর্বোচ্চটাই আমি এখন দিতে চাই। যে কোনো প্রকারে হোক আরও ওপরে ওঠার মনোভাব আমার নেই। কখনো ছিলও না। কাদের বলেন, কোনো কমিটিও গঠন হয় নাই। কমিটি বাতিলও হয় নাই। কমিটি না হওয়া পর্যন্ত আগের কমিটির সদস্যরা সাধারণ সদস্য হিসেবে থাকবেন। উপকমিটি কেন গঠন করা হয়নি জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমরা যাচাই-বাছাই করছি। কোনো অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়ে কি না। কোনো মামলার আসামি আছে কি না। এগুলো যাচাই-বাছাই করতেই একটু সময় নিচ্ছি। তিনি বলেন, বিষয়টা এমন একটা জায়গায় গেছে যে যেনতেন প্রকারেই হোক কমিটিতে নামটা ঢুকলেই তিনি এলাকায় গিয়ে বিশাল আকারের ছবি দিয়ে ওপরে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার ছবি দিয়ে পোস্টার-ফেস্টুনে ভরে ফেলেন। এমপিদের সঙ্গে বিরোধে লিপ্ত হন। এই কারণেই আমরা এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাচাই-বাছাই করে দলের ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে স্থান দেব।

সর্বশেষ খবর