সোমবার, ২২ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঢাকা একটি অপরিকল্পিত নগরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা একটি অপরিকল্পিত নগরী

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঢাকা একটি অপরিকল্পিত নগরীতে রূপ নিয়েছে। এ শহর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নোংরা-আবর্জনায় চারপাশ ভরে যাচ্ছে। এখানে কেউ কোনো আইন মানে না। রাজউকের কথা শোনে না। আবার রাজউকের মধ্যেও ভূত ঢুকে পড়েছে বলে তিনি মনে করেন। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত সাগর-রুনী মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে গণপূর্তমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডিআরইউ সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ। এ সময় ডিআরইউর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ক্রেস্ট দিয়ে মন্ত্রীকে বরণ করে নেন মো. সাইফুল ইসলাম। মন্ত্রী বলেন, একটি সৎ সরকারই পারবে একটি দেশ এগিয়ে নিতে। সম্প্রতি একটি জরিপে সৎ সরকারের প্রধান হিসেবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী তিন নম্বরে স্থান পেয়েছেন। রাজধানীর সব খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা শহরের চারদিকে নদীগুলো খনন করতে হবে। আগে আশুলিয়ার দুই পাশে পানি ছিল। সেগুলো গত ১৫ বছরে ভরাট করা হয়েছে। তুরাগ নদের চিহ্নও নেই। মন্ত্রী বলেন, অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানীতেও কোনো শৃঙ্খলা নেই। গুলশান, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে রাস্তা ঘেঁষে ভবন তৈরি করা হয়েছে। রাজউক বললেও হয়তো তারা মানেন না। হয়তো রাজউকে শর্ষের মধ্যে ভূত রয়েছে। অথবা আইন প্রয়োগকারীরা দেখেন না। সবাই যদি আন্তরিক হই তবে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর পূর্বাচল হবে একটি স্মার্ট সিটি। এর পুরো এলাকার ৪৮ কিলোমিটারজুড়ে থাকবে লেক। পূর্বাচলে প্রায় ৭৫ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকার পরিকল্পিত আবাসন এলাকা গড়ছে উল্লেখ করে বলেন, ৫৫ হাজার বস্তিবাসীর জন্য ১০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করা হবে। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ফসলি জমিতে গৃহ ও শিল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। ফসলি জমি ধ্বংস করা যাবে না। এ জন্য আইন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ইট পোড়ানো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বিভিন্ন উন্নত দেশে ‘স্যান্ড সিমেন্ট ব্লক’ ব্যবহার করা হচ্ছে ইট তৈরিতে। এমন পদ্ধতির মধ্যে আমাদেরও আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন করার ঘোষণা করেছেন। অকৃষি জমিতে এসব ইকোনমিক জোন হবে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের জায়গার জটিলতা সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা একটি প্রস্তাবনা দিলে সেটি সারসংক্ষেপ আকারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাব। আশা করি প্রধানমন্ত্রী এটি সমাধান করে দেবেন। ডিআরইউ বহুমুখী সমবায় সমিতির জমিতে সদস্যদের জন্য জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বহুতল আবাসিক ভবন গড়ে দেওয়ারও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

সর্বশেষ খবর