নারায়ণগঞ্জ সিটিতে হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ১৬ জানুয়ারি সংঘর্ষের ওপর আট বিষয়ে তদন্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী আজ রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, সংঘর্ষের পর আট দিন পার হলেও গতকাল সোমবার পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা করেনি। পুলিশও ওই সংঘর্ষে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ঘটনার সময় যুবলীগের সাবেক নেতা নিয়াজুল ইসলামের লাইসেন্স করা যে অস্ত্রটি খোয়া গেছে তাও উদ্ধার হয়নি। তবে লুটপাটকারী বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, তারা অত্যন্ত পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র জানায়, ঘটনার পুরো ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত-অপ্রকাশিত স্থিরচিত্রও তাদের সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তকারীরা এগুলো দেখে সাতজন অস্ত্রধারীকে চিহ্নিত করেছেন। ঘটনার জন্য কোন পক্ষ দায়ী, তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন রয়েছে কি না এবং মেয়রের পদযাত্রায় যারা ছিলেন তাদের কর্মকাণ্ডও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মেয়র আইভীকে কারা চাষাঢ়ার দিকে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শামীম ওসমান এমপি কোন পরিস্থিতিতে হকারদের নিবৃত করেছেন তাও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, একটি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে ১২ জন অস্ত্রধারী চিহ্নিত হয়েছে। এ সংখ্যা ঠিক নয়। তবে একটি সংখ্যা তো অবশ্যই আছে, যার উল্লেখ থাকবে প্রতিবেদনে। তদন্ত হচ্ছে, অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ চলছে। রিপোর্ট হবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। কারণ পুলিশ জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।