সোমবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

সেতুতে টোল দিলেন ওবায়দুল কাদের

রায় ঘিরে নৈরাজ্য হলে জনগণ প্রতিহত করবে

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ মুক্তারপুর এলাকায় অবস্থিত ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু পারাপারে নিজ গাড়ি বহরের টোল দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গতকাল বিকালে শহরের পুরাতন কাচারি এলাকার শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী। তিনি এখানে আসার পথে সেতু পারাপারে নিজের গাড়ি বহরের টোল প্রদান করেন। আবার ঢাকায় ফেরার পথেও গাড়ি বহরের টোল প্রদান করেন। আসা ও যাওয়া মিলিয়ে দুবার বহরের ৩৯টি গাড়ির জন্য ১ হাজার ৫৬০ টাকা টোল দিয়েছেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা বলেন, সেতুর মালিক সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়। তারপরও সড়ক ও সেতু মন্ত্রী সব সময়ই যে কোনো সেতু পারাপারে টোল দিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকেন। এদিকে মন্ত্রী মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাব নেতাদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। তিনি সাংবাদিকদের খোঁজখবর নেন। এ সময় মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাব নেতারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

রায় ঘিরে নৈরাজ্য হলে জনগণ প্রতিহত করবে : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার রায়কে ঘিরে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে জনগণই তা প্রতিহত করবে। গতকাল নারায়ণগঞ্জের গোগনগরে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর পাইলিং কাজের উদ্বোধন করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মামলার রায় কী হবে তা আদালত জানে। কিন্তু রায় না জেনেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আদালতকে হুমকি দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে তারা আদালতকে অবমাননা করেছেন। রায়কে ঘিরে কোনো নৈরাজ্যকর অবস্থার সৃষ্টি হলে মোকাবিলা করার জন্য সরকার লাগবে না, জনগণই প্রতিরোধ করবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি মনে করেছে এবারও তারা নির্বাচনে না এলে আবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটা ফাঁক তৈরি হবে। কিন্তু তা ভেবে থাকলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। এবার আর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হবে না, অনেকগুলো দল এবার নির্বাচনে অংশ নেবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু নারায়ণগঞ্জবাসীকে উপহার দেওয়া হলো। এটি নাসিম ওসমানের নামে নামকরণের দাবির বিষয়ে আমি প্রস্তাব করব। ৪৪৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের মধ্যেই এ সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

 এ সময় সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান ও এ কে এম শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া, পুলিশ সুপার ড. মঈনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর