আগুন সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, কোনো ধরনের অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না। সুপ্রিম কোর্টের গেটের সামনে পুলিশের ওপর হামলা ও প্রিজন ভ্যান থেকে দুজনকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি  দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য ঘটানো হয়েছিল। এ অপতৎপরতা যারা করতে চেয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাদের অবশ্যই আইনের মুখোমুখি করা হবে। গতকাল বিকালে রাজধানীর একুশে বইমেলার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজ জননিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। সবাই দেশের আইন মেনে চলেন। কারণ কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। মানুষের নিরাপত্তা রক্ষা ও রাজধানীর শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে। রাজধানীর শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ডিএমপি, ডিবি, সিটিসহ সবকটি ইউনিট সমন্বয় করে কাজ করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো গ্রেফতার তৎপরতা চলছে না। যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, সেগুলো নিত্যদিনের কাজের অংশ। সুপ্রিম কোর্টের গেটের সামনে পুলিশের ওপর হামলা ও প্রিজন ভ্যান থেকে দুজনকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় শাহবাগ ও রমনা থানার ৩ মামলায় প্রায় ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনাটি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য ঘটানো হয়েছিল। ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার রায়-পরবর্তী পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো কিছুই হবে না। কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাম্প্রদায়িক বই মনিটরিংয়ের জন্য একটি কমিটির গঠন করা হয়েছে। যদি কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাম্প্রদায়িক বই প্রকাশ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোয়েন্দারা কাজ করে যাচ্ছে। নগর পুলিশপ্রধান বলেন, মেলা এলাকায় শ্লীলতাহানিসহ  কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মেলায় আসা সবাইকে আর্চওয়ের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে। সবাইকে মেটাল ও ফিজিক্যাল তল্লাশির মধ্য দিয়ে  মেলায় প্রবেশ করতে হচ্ছে।