সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

৮ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে রাজপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় কী হয়— তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে রায়ের দিন ঢাকাসহ দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ ‘মানববন্ধন’ কর্মসূচি পালন করা হতে পারে। রায়ের আগের দিন বুধবার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনও করতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা হয়। তবে কর্মসূচি চূড়ান্তের দায়িত্ব বেগম জিয়ার ওপরই দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। বৈঠকের পর একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানা গেছে।আরও জানা গেছে, বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনের খালেদা জিয়ার বক্তব্যের খসড়া তৈরি করেন। তবে রায় নেতিবাচক হলে পরিস্থিতি বুঝে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি দেওয়া হবে। কোনোভাবেই হরতাল-অবরোধের মতো ‘সহিংস’ কর্মসূচিতে আপাতত যাবে না বিএনপি। এদিকে গতকাল নির্বাহী কমিটির নেওয়া রেজুলেশন স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত করা হয়। এ প্রস্তাবনাগুলো শিগগিরই গণমাধ্যমে দেওয়া হবে। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে রাত সোয়া ৯টায় খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

 প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে ৮ ফেব্রুয়ারি নিয়েই কথাবার্তা হয়। স্থায়ী কমিটির এক নেতা জানান, এ সময় শীর্ষ নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বিএনপি চেয়ারপারসন ছিলেন শক্ত অবস্থানে। জেল নিয়ে তার কোনো দুশ্চিন্তা নেই বলেও নীতি নির্ধারণী ফোরামের সদস্যদের তিনি জানিয়েছেন। বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার  মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম,  লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। রায়ের আগে আবারও ২০ দলীয় জোটের সঙ্গেও বসতে পারেন বেগম জিয়া।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, রায় নেতিবাচক হলে বিএনপি গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেবে। নেতিবাচক পন্থা বর্জন করতে তৃণমূলকে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর