সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

নির্বাচনে অযোগ্য করার নীলনকশা : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে বিএনপি ঘোষিত সব কর্মসূচিতে সমর্থন ও মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ২০ দল। একই দাবিতে রাজধানীতে জনসভাও করতে চায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন এই জোট। এ ব্যাপারে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা  করবে ২০ দল। তবে এই মুহূর্তে কোনো সহিংস কর্মসূচি নয়। গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ২০-দলীয় জোটের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক সূত্র এ তথ্য জানায়। বৈঠকে জোটের সমন্বয়ক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে মিথ্যা অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। বেগম জিয়া ও আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাচনে অযোগ্য করাই তাদের লক্ষ্য। এর বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ নিয়ে আমরা জাতীয় ঐক্য চাই। বৈঠক শেষে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, জোটের সভায় আমাদের চেয়ারপারসনের মুক্তি দাবিতে বিএনপি যে কর্মসূচিগুলো গ্রহণ করেছে, সেই কর্মসূচির প্রতি তারা একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। তারা এসব কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন। একই সঙ্গে অদূর-ভবিষ্যতে ২০-দলীয় জোটের পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক চলাকালীন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে টেলিফোনে জোট নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। সেখানেও জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, জোটের এই সভায় দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে যে সাজা দেওয়া হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও জানিয়েছে জোট। একই সঙ্গে বিএনপিসহ ২০-দলীয় জোটের গ্রেফতার হওয়া নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিও জানানো হয়। তিনি বলেন, পুলিশ নির্যাতনে আহতদের প্রতি সমবেদনা জানানোও হয়েছে। জোটের এই  বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জোটের ঐক্যকে আরও প্রসারিত করার জন্য অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে। জোটের সমন্বয়ক মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্ব এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার  মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী অংশ নেন। এ ছাড়া জোটের শরিকদের মধ্যে ছিলেন বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতের আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টি (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এম এ রকীব, এলডিপির ড. রেদোয়ান আহমেদ ও শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, এনডিপির খন্দকার গোলাম মুর্তজা, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, মুসলিম লীগের এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ইসলামিক পার্টির সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, লেবার পার্টির একাংশের  ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, অপর অংশের হামদুল্লাহ আল মেহেদী, জমিয়তে উলামা ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর