রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল বিকালে হোটেল রেডিসনে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত মিডিয়া ডায়ালগ-২০১৮-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, ভারতীয় হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. আদেশ সৈকত প্রমুখ। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বেশ ক্রাইসিসে আছি। ভারত আমাদের ক্রাইসিস মুহূর্তে (মুক্তিযুদ্ধে) সহযোগিতা করেছিল, আশা করি এবারের ক্রাইসিস মুহূর্তেও সহযোগিতা করবে।’ এ সময় ভারত থেকে আসা গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও দেশটির সরকারের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা জানি মিয়ানমারের সঙ্গে আপনাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। আপনারা আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু। আপনাদের সম্পর্ক অব্যাহত রেখে মিয়ানমারকে চাপ দিন।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের অপ্রত্যাশিত এ বোঝা সইবার নয়। আপনারা মুক্তিযুদ্ধের সময় সহযোগিতা করেছিলেন, এই ক্রাইসিস মুহূর্তেও আপনাদের সহযোগিতা চাই।’ তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আমলেই তিস্তা ইস্যুর সমাধান হবে। আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আমাদের সরকারের শেষ সময়ে চলে আসছি। আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। তাই তিস্তা ইস্যু সমাধান করুন।’ ভারতের গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে বলুন, তিনি যেন দিল্লি সরকারকে তিস্তা ইস্যুর সমাধানে সহযোগিতা করেন।’ ওবায়দুল কাদের ভারতের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের বিকল্প হচ্ছে পাকিস্তানের বন্ধুরা। যারা আপনাদের সেভেন সিস্টারে যাবতীয় গোলযোগ সৃষ্টির মূলে। যারা পাকিস্তানের আইএসআইর সঙ্গে কাজ করে। এ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আমাদের ভুলত্রুটি থাকতে পারে। আমরা আলাপ-আলোচনা করব। আলাপ-আলোচনা করার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক বিষয়ে সমাধানে যাব। এটাই বন্ধুত্ব। একে আরও দৃঢ় করতে চাই।’