রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

নথি এলে খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে আদেশ আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতির দায়ে কারাভোগী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন হবে কিনা, সে বিষয়ে আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে। বিষয়টি হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের কার্যতালিকার ১ নম্বরে আদেশের জন্য রাখা হয়েছে। তবে বিচারিক আদালতের নথি হাই কোর্টে পৌঁছলেই এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। রবিবার নিম্ন আদালতের নথি হাই কোর্টে পাঠানোর কথা থাকলেও কখন তা পৌঁছবে সঠিক করে বলতে পারেননি কেউ। সূত্র জানায়, ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালত থেকে এসব নথি পাঠানো হবে হাই কোর্টে। ওই আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন বিশেষ পাহারায় খালেদা জিয়ার মামলার নথি নিয়ে আসবেন। তবে ওই আদালতে প্রতিদিনের নির্ধারিত মামলার শুনানি থাকায় সকালে নথি না-ও পৌঁছতে পারে। এর আগে বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এ বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য এই দিন ঠিক করেন।

গতকাল খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রবিবার সকালে বিচারিক আদালতের মামলার নথিপত্র হাই কোর্টে পৌঁছতে পারে। হাই কোর্টে খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা প্রকাশও করেন তিনি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত বিচারিক আদালতের নথি (এলসিআর) আসেনি। বিষয়টি রবিবারের কার্যতালিকার ১ নম্বরে থাকলেও নথি আসাসাপেক্ষে আদেশ দেবে আদালত। ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান রায় দেওয়ার ১০ দিন পর রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পেয়ে হাই কোর্টে আপিল করেন বিএনপি চেয়ারপারসন, সঙ্গে জামিনের আবেদনও জানান। এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চ খালেদার জরিমানা স্থগিত করে বলেন, জজ আদালত থেকে এ মামলার নথি এলে তা দেখে জামিন আবেদন বিষয়ে আদেশ দেবেন তারা। পূর্ণাঙ্গ রায়ের মতো বিচারিক আদালত থেকে নথি পাঠাতেও গড়িমসি চলছে বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগের মধ্যে বুধবার ওই আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন নথি পাঠানোর সম্ভাব্য সময় জানান। তিনি বলেন, ‘সমস্ত যাচাই-বাছাই শেষ করে নথিপত্রের কাগজপত্রের নিয়মমতো ধারাবাহিক সন্নিবেশ করার জন্যই এতটা সময় গেল। আশা করা যাচ্ছে রবিবার আমরা নথিপত্র হাই কোর্টে পাঠাতে পারব।’ প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ আরও পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে। বর্তমানে তিনি সেখানেই রয়েছেন। এরপর বিচারিক আদালতের রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে ২২ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের নথি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে উচ্চ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদার জামিন আবেদনের শুনানিও শেষ হয়। তবে ওইদিন জামিনের বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে হাই কোর্ট জানায়, বিচারিক আদালতের নথি আসার পর এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর