রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

উচ্চ আদালতে আরও নারী বিচারপতি নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উচ্চ আদালতে আরও নারী বিচারপতি নিয়োগ

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘অধিকাংশ নারী বিচারক তাদের দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। উচ্চ আদালতে আরও বেশি সংখ্যায় নারী বিচারপতি নিয়োগে আমরা সচেষ্ট থাকব।’ গতকাল প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জেলা ও দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আরও নারী বিচারক নিয়োগের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনার আশ্বাস দেন প্রধান বিচারপতি। বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ মহিলা জাজ অ্যাসোসিয়েশন এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জেলায় আবাসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে নারী বিচারকদের অগ্রাধিকার দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী দুজনই বিচারক হলে তাদের একই কর্মস্থলে রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। সংগত কারণে তা সম্ভব না হলে পাশের জেলায় পদায়ন করা হবে।’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তানজিনা ইসমাইলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির উপদেষ্টা আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি জিনাত আরা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নুরুন্নাহার ওসমানী, জ্যেষ্ঠ সহকারী জেলা জজ মেহনাজ সিদ্দিকী, নরসিংদীর যুগ্ম জেলা জজ বেগম লুবনা জাহান ও যুগ্ম আইন সচিব বেগম উম্মে কুলসুম। এ সময় প্রধান বিচারপতির স্ত্রী সামিনা খালেক উপস্থিত ছিলেন। নারীর ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নানা পদক্ষেপ ও রায়ের কথা তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তা ছাড়া নারীরা যাতে ফতোয়ার বলি না হন, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায় রয়েছে।’ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘নারী বিচারকরা অত্যন্ত দক্ষতা, যোগ্যতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিচারকাজ পরিচালনা করছেন।’ তিনি বলেন, ‘শিক্ষা ক্ষেত্রে এগিয়ে আসাই একসময় নারীদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জে আজ বাংলাদেশের নারীরা উত্তরণ ঘটিয়েছেন। আজকের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, নারীর জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা।’

সর্বশেষ খবর