বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

বাংলাদেশি জীবিত ১০ নিহত ২৬

নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্রুসহ নিহত ২৬ ও আহত ১০ বাংলাদেশির নাম প্রকাশ করেছে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ। নিহতদের লাশ ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের সরকারি প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা হচ্ছে। আজ লাশ দেশে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। আহত ১০ জন নেপালের নরভিক, ওম ও কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল বিকালে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বারিধারার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান এর জিএম (মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা অপেক্ষায় আছি যত দ্রুত সম্ভব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাশ দেশে এনে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার। আর সেখানে আহত যারা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তাদের চিকিৎসা খরচসহ অন্যান্য সব ব্যয়ভার বহন করবে ইউএস-বাংলা। ইউএস-বাংলা যাত্রীদের প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আছে।’

নিহত ২৬ বাংলাদেশি : বাংলাদেশিদের মধ্যে নিহত ব্যক্তিরা হলেন ককপিট ক্রু আবিদ সুলতান ও প্রিথুলা রশীদ। কেবিন ক্রু খাজা হোসাইন মোহাম্মদ শফি ও শারমিন আক্তার নাবিলা। যাত্রীদের মধ্যে নিহতরা হলেন রকিবুল হাসান, রফিকুজ্জামান, সানজিদা হক, অনিরুদ্ধ জামান, শশী রেজা তাহিরা তানভির, পিয়াস রায়, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, উম্মে সালমা, এফ এইচ প্রিয়ক, তামারা প্রিয়ন্ময়, হাসান ইমাম, হারুন্নাহার বিলকিস বানু, নজরুল ইসলাম, আখতারা বেগম, বিলকিস আরা, ফয়সাল আহমেদ, আলিফুজ্জামান, মিনহাজ বিন নাসির, আঁখি মণি, এস এম মাহমুদুর রহমান, নুরুজ্জামান ও মতিউর রহমান।

১০ আরোহী আহত : আহত ১০ জনের মধ্যে ইয়াকুব আলী নেপালের নরভিক হাসপাতালে, রেজওয়ানুল হক ওম হাসপাতালে, ইমরানা কবির হাসি, শাহরিন আহমেদ, শেখ রাশেদ রুবাইয়াত, আলমুন নাহার এনি, মেহেদী হাসান, সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা, কবির হোসাইন ও শাহিন বেপারি কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগে সকাল ৯টা ০৫ মিনিটে ইউএস-বাংলার সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল হতাহতদের ৪৬ স্বজনকে নিয়ে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। বেলা ১০টা ৫০ মিনিটে তারা সেখানে অবতরণ করেন। এ তথ্য জানিয়ে বেলা ১১টার দিকে কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আহতদের স্বজনদের জন্য সেখানে একটি হোটেল ভাড়া করেছি। যত দিন চিকিৎসা না শেষ হয় তত দিন তারা সেখানে অবস্থান করবেন। এর যাবতীয় খরচ বহন করবে ইউএস-বাংলা।’ ইউএস-বাংলার ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলে আছেন সিইও ইমরান আসিফ, ডিএমডি মাহবুব ঢালী, পরিচালক মুসা মোল্লা, ফেরদৌস ইমরান, ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল মামুন, এক্সিকিউটিভ মামুন দেওয়ান ও তাপস দেব। সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে চার ক্রুসহ ৬৭ আরোহী নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

সর্বশেষ খবর