শুক্রবার, ১৬ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
আহত শাহরিন ঢাকায়

বিমানের সামনের দিকে থাকায় প্রাণ রক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শাহরিন আহমেদকে দেশে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ঢাকার উদ্দেশে কাঠমান্ডু ছাড়ে শাহরিনকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে বিমানটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বিকাল ৫টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে শাহরিনকে গ্রহণ করেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন ও বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। এরপর তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এর আগে শাহরিন আহমেদের মা ফেরদৌসী মোশতাক হাসপাতালে পৌঁছে মেয়ের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। শাহরিন জানিয়েছেন, বিমানের সামনের দিকে থাকায় তিনি বেঁচে গেছেন। দুর্ঘটনার পর নেপালি সেনারা তাকে টেনে বের করেন।

বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘কাঠমান্ডু থেকে রওনা হওয়ার পরই বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিল আমাদের অ্যাম্বুলেন্স। বিমান থেকে নামার পরই সুমন কুমার সরকার ও সুমনা খানম নামে আমাদের দুজন সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহরিনকে নিয়ে হাসপাতালে এসে পৌঁছান।’ জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে (বিজি ০৭২) নেপাল থেকে শাহরিনকে নিয়ে আসা হয়। বিমানে শাহরিনের সঙ্গে তার দুই ভাই ছিলেন।

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তিনি পায়ে আঘাত পান।

এদিকে সন্ধ্যায় ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শাহরিনের দুই পায়ে ফ্র্যাকচার ও শরীরের ৫ শতাংশ ডিপ বার্ন হয়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্টেবল (স্থিতিশীল) রয়েছে। ইতিমধ্যে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এরপর বলা যাবে আরও কী ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, একটা সার্জারি অপারেশন ও একটা স্কিন অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া প্রয়োজনে মেডিকেল টিম গঠন করা হবে।’

আহত শাহরিনের বড় ভাই ডা. সরফরাজ আহমেদ জানান, ঘটনার পর দিন তিনি কাঠমান্ডু যান এবং বোনের চিকিৎসার সার্বিক তদারকি করেন। তিনি দেখেন সেখানে তার বোনের উপযুক্ত চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই বোনকে তাড়াতাড়ি দেশে আনার ব্যবস্থা করেন। তার বোন বিমানের পেছনের অংশে টয়লেটের পাশে ছিলেন। সেখান থেকে সেনাবাহিনী তাকে বিমান কেটে বের করে। এ ঘটনায় দুই দেশের সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রশংসা করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ফয়েজ আহম্মেদ, অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ খন্দকারসহ আরও অনেকে।

সর্বশেষ খবর