প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জামালপুরে এক কলেজছাত্র যুবকের মুখ অ্যাসিডে ঝলসে দিয়েছে প্রেমপ্রার্থী এক যুবতী। অ্যাসিডদগ্ধ কলেজছাত্র মাহমুদুল হাসান মারুফকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় আটক কলেজছাত্রী ভাবনা আক্তার রিয়া ও তার মাকে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে তাদের ৫দিনের রিমান্ড চেয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, জামালপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইলেক্ট্রনিক্স টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মাহমুদুল হাসান মারুফকে প্রেম নিবেদন করে আসছিল একই গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে মেলান্দহ ঝাউগড়া বঙ্গবন্ধু কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ভাবনা আক্তার রিয়া। গত ১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারুফ রিয়াদের বাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভাবনা আক্তার রিয়া মারুফকে তাদের বাসায় যেতে বলে। মারুফ এতে রাজি না হলে আকস্মিকভাবে রিয়া তার মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারে। অ্যাসিডে মারুফের পুরো মুখমণ্ডল ছাড়াও কাঁধের কিছু অংশ ঝলসে যায়। পরে অ্যাসিডদগ্ধ মারুফকে স্থানীয় লোকজন রাতেই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পরে গুরুতর অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে অ্যাসিডদগ্ধ মারুফ ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার পর ওইদিন রাতেই পুলিশ ভাবনা আক্তার রিয়া ও তার মা হাসি বেগম সুজেদাকে আটক করে। আটক দুজনকে শুক্রবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিমুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় মারুফের পিতা দুদু মিয়া বাদী হয়ে ১৬ মার্চ শুক্রবার অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ আইনে ভাবনা আক্তার রিয়া ও তার মা হাসি বেগম সুজেদাকে আসামি করে জামালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওসি নাছিমুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাবাদের জন্য তাদের ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রবিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
