বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
মার্কিন বিমানবন্দর

পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর জ্যাকেট খুলে তল্লাশি

প্রতিদিন ডেস্ক

পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর জ্যাকেট খুলে তল্লাশি

পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসি ‘ব্যক্তিগত’ সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সেখানকার বিমানবন্দরে ‘অমর্যাদাকর’ নিরাপত্তা তল্লাশির মুখে পড়েন বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম। খবরে বলা হয়, সেখানে তাকে তার জ্যাকেট খুলে তল্লাশি করা হয়। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া। পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার ওপর ভিসা বাতিলসহ যুক্তরাষ্ট্র নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে— এমন গুঞ্জনের মধ্যে আব্বাসিকে নিরাপত্তা পরীক্ষার নামে এভাবে নাজেহাল করার অভিযোগ এলো। যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে গত সোমবার পাকিস্তানের সাতটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি টেলিভিশনগুলোতে দুই দিন ধরে একটি ফুটেজ প্রচার হচ্ছে। তাতে আব্বাসিকে ব্যাগ ও কোট হাতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা চেকিং পেরিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। অসুস্থ বোনকে দেখতে গত সপ্তাহে ব্যক্তিগত সফরে আব্বাসি যুক্তরাষ্ট্রে যান। এর মধ্যেই অনির্ধারিত এক বৈঠকে তিনি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পেন্স সেসময় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়ে যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে পাকিস্তানিদের আরও বেশি কিছু করার অবকাশ আছে বলে স্পষ্ট ভাষায় জানান। এদিকে মার্কিন বিমানবন্দরে আব্বাসির সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা নিয়ে পাকিস্তানি টেলিভিশনগুলোতে চলছে ক্রুদ্ধ সমালোচনা। এতে এক ক্রুদ্ধ উপস্থাপক প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ব্যক্তিগত সফরের কথা বলায় আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত। আপনি প্রধানমন্ত্রী, আপনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট আছে। এ কারণে কোনো সফরই আর ব্যক্তিগত হতে পারে না। আপনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন, অবশ্যই আপনার জন্য সুনির্দিষ্ট প্রটোকল আছে। আপনি ২২ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন।’ এ ঘটনায় পাকিস্তানের ‘মর্যাদাহানি হয়েছে’ এবং আব্বাসি দেশের জন্য ‘লজ্জা বয়ে এনেছেন’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।পাকিস্তানি গণমাধ্যমের এমন অভিযোগের আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক এক সাময়িকী জানায়, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা জঙ্গিদের মদদ দেওয়ায় ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হাঁটছে। জঙ্গিদের সহায়তার দায় বিষয়ে পাকিস্তানি সরকারের অস্পষ্ট অবস্থানের কারণে ট্রাম্প প্রশাসন যেসব পদক্ষেপের কথা ভাবছে, তার মধ্যে আছে— পাকিস্তানকে দেওয়া নেটোবহির্ভূত বড় মিত্রের মর্যাদা খারিজ এবং দুই মাস আগে স্থগিত করা সামরিক সহায়তা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার মাত্রা কী হবে— তা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অভ্যন্তরে বিতর্ক চলছে বলেও জানায় সাময়িকীটি।

সর্বশেষ খবর