শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

তিন সংস্থার ভূমিকা খুবই জরুরি

------ ডা. রাকিবুল ইসলাম লিটু

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন সংস্থার ভূমিকা খুবই জরুরি

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রাকিবুল ইসলাম লিটু বলেছেন, ‘তিন সংস্থা কার্যকর ভূমিকা পালন করলে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব। সংস্থাগুলো হলো— স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। কিন্তু এ সংস্থাগুলো যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে বলে মনে হয় না। ভুয়া সনদে যেমন চিকিৎসক হচ্ছে আবার সনদবিহীনরাও এ পেশায় জড়িয়ে পড়ছেন। এ কারণেই ভুল চিকিৎসায় মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন পেশেন্ট ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. রাকিবুল ইসলাম লিটু। তিনি বলেন, ‘আশঙ্কাজনক হারে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলোতে অযোগ্যরা জায়গা করে নিচ্ছেন। অযোগ্যরাই নানাভাবে আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে চিকিৎসা বিদ্যায় ঢুকে পড়ছেন। তারা হলো নামমাত্র চিকিৎসক। তাদের হাতে রোগীর সুস্থ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই।’ ডা. রাকিবুল ইসলাম লিটু বলেন, ‘এ পেশা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। মানুষের জীবনমৃত্যু নিয়ে কাজ হয় এ পেশায়। এ পেশায় মেধার ঘাটতি কম থাকলেও দক্ষতা-আন্তরিকতার চরম সংকট রয়েছে। এই পেশায় চিকিৎসকের মেধা-দক্ষতা ও আন্তরিকতার ঘাটতি থাকলে কখনই সুচিকিৎসা হবে না। এ ছাড়াও দেশের অধিকাংশ চিকিৎসকই রোগীবান্ধব হতে পারছেন না। কেউ কেউ রোগীদের সঙ্গে আসামির মতো আচরণ করেন। কিন্তু চিকিৎসা সেবায় ডাক্তার-রোগীর সুসম্পর্ক খুবই জরুরি।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলো পরিচালনার নীতিমালাও আছে। কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে না। যারা দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন, তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন। এ কারণেই নানা অনিময় ও ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর হার বাড়ছে। সরকার উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ পরিচালনা করছে। কিন্তু কিছু ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কারণে এসব উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এসব বিষয়েও সরকারকে বিশেষ নজরদারি বাড়াতে হবে।’ পেশেন্ট ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. লিটু বলেন, ‘আজ অনেকেই কিছু অসাধু চিকিৎসকের যোগসাজশে কম মেধাসম্পন্ন হয়েও প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ করে নিচ্ছেন। অথচ মেধা তালিকায় সামনের সারিতে থাকার পরও অনেকে কম মেধা সম্পন্ন ছাত্রদের বাঁকা পথ অবলম্বনের তোড়ে ছিটকে পড়ছেন। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে ভর্তির জন্য হাঁক-ডাকও দেওয়া হয় অনেক বেসরকারি মেডিকেল কলেজে। মেডিকেলে ভর্তির নামে একটি শ্রেণি হরিলুট করছে। অযোগ্যরা যদি এই স্পর্শকাতর জায়গায় আসে তাহলে তাদের হাতে ভুল চিকিৎসা হওয়াই তো স্বাভাবিক। এগুলোও বিশেষভাবে দেখা উচিত ওই তিন সংস্থার। এ কারণে অনেক রোগী প্রাণ বাঁচাতে ভয়ে বিদেশে চিকিৎসা করতে যায়।’

সর্বশেষ খবর