রাজধানীর দক্ষিণখান থানার মোল্লারটেক রোডের এক বাসায় ডাকাতির অভিযোগে জহিরুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। গতকাল ভোরে দিয়াবাড়ী এলাকায় ওই যুবক ক্রসফায়ারে নিহত হন। পুলিশ বলছে, জহিরুল একটি ডাকাত দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। ওই দলের অন্য সদস্যদের ধরতেই তাকে নিয়ে দিয়াবাড়ীতে অভিযান চালানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে মোল্লারটেকের ২ নম্বর রোডের ২৬২ নম্বর বাড়িতে ডাকাতি করে সাত-আট জনের একটি ডাকাত দল। ওই বাসা থেকে টাকা ও সোনার অলঙ্কার নিয়ে পালানোর সময় এলাকাবাসী ধাওয়া করে।
এ সময় ডাকাতদের গুলিতে স্থানীয় রহমত ও ইমদাদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে পাঁচ ডাকাতকে ধরে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা জানান, ডাকাতির ঘটনার পরে জহিরুল, হাবিব, কবির, নুরুজ্জামান ওরফে নাবিল ও হুমায়ুন নামে পাঁচ ডাকাতকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, তিনটি চাপাতি ও ডাকাতির মালামাল উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জহিরুল একটি ডাকাত দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এরপর তার দেওয়া তথ্যানুসারে অন্য ডাকাতদের ধরতে দিয়াবাড়ীতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে আগ থেকে অবস্থান নিয়ে থাকা ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে জহিরুল গুলিবিদ্ধ হন। অন্য ডাকাতরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আরও একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও দুটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। পরে জহিরুলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অভিযানে দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম ও পরিদর্শক (অপারেশন) নূর মোহাম্মদ আহত হয়েছেন। নিহত জহিরুলের বাড়ি জামালপুরে। এ ঘটনায় দক্ষিণখান থানায় মামলা হয়েছে। অন্য ডাকাতদের ধরতে অভিযান চলছে।