বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

শেখ হাসিনার মডেলেই ছাত্রলীগের সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের যে রেওয়াজ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু করেছিলেন, সে ধারা ধরে রাখতে চায় ছাত্রলীগ। তাই ভোটে নেতা নির্বাচনের পক্ষে সংগঠনের পদপ্রত্যাশী ও বর্তমান নেতারা। ১১ মে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রাথমিক দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সম্মেলনের তারিখ ও প্রস্তুতির কথা অবহিত করবেন সংগঠনের শীর্ষ দুই নেতা। ৩১ মার্চ সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রবেশের প্রথম ধাপ ধরা হয় ছাত্রলীগকে। সে কারণে রাজনীতির শুরুতেই যেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গণতন্ত্রচর্চায় অভ্যস্ত হতে পারেন, এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন সংগঠনের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে তিনি ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, রাজনীতির শুরুতেই গণতান্ত্রিক চর্চায় অভ্যস্ত করা প্রয়োজন। ছাত্রলীগের অতীতের কয়েকটি সম্মেলন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০০২ সালের পর থেকে প্রতিটি সম্মেলনেই ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা হয়েছে। এবারও ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতারা। তারা বলছেন, ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হলে সঠিক নেতৃত্ব উঠে আসবে। আর সিলেকশনে নেতা নির্বাচন করা হলে বিশেষ কারোর পছন্দের প্রার্থীকে নেতা করা হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী দুজন নেতা জানিয়েছেন, নেত্রী ভোটের পক্ষে। আমরা তা-ই চাই। এতে কেউ উড়ে এসে বা কোনো বিশেষ নেতার আস্থাভাজন হয়ে নেতা হতে পারবেন না। ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। তারা বলছেন, শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকই নয়, অন্য পদগুলোতেও ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করা প্রয়োজন। এতে ছাত্রলীগ নেতাদের নামে যেসব অভিযোগ ওঠে সেগুলো বন্ধ হবে। কারণ তারা কর্মীদের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হয়ে ওঠার চেষ্টা করবেন। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যে সংগঠনে গণতান্ত্রিক চর্চার ধারাবাহিকতা থাকবে, সেই সংগঠন তত বেশি গতিশীল হবে। ছাত্র সংগঠনের আজকের নেতারাই হবে দেশের ভবিষ্যৎ জাতীয় নেতা। সুতরাং গণতান্ত্রিক চর্চা অর্থাৎ ভোটের মাধ্যমেই ছাত্রলীগের নেতৃত্ব আসা প্রয়োজন এবং তা হচ্ছে। তবে সমস্যা হচ্ছে, শুধু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। বাকি পদগুলোতেও ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করা উচিত।

সর্বশেষ খবর