বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুদকের তলবে সরকারের হাত নেই : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২৫ কোটি টাকা ‘সন্দেহভাজন’ লেনদেনের তথ্য পেয়ে আট নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তে বিএনপির প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই সংস্থাটি স্বাধীনভাবে কাজ করছে, এ সিদ্ধান্তে সরকারের হাত থাকার কারণ নেই। দুদক তো আমাদের দলের নেতাদেরও ডাকে, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদেরও ডাকে। একজন সংসদ সদস্যের কারাদণ্ডও হয়েছে। দুদকে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকলে এটা হতো কিনা? 

গতকাল দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার গঠনের ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন প্রস্তুতি কমিটির বৈঠক শেষে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।  কাদের বলেন, তাদের ব্যাপারে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। এখানে তাদের এখনো তদন্তের পর্যায়ে না, তলব করা হয়েছে মাত্র। একই সময়ে দেখলাম আমাদের আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য (বিএইচ হারুন), তাকেও দুদক তলব করেছে। আইন সবার জন্য সমান। বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানগুলো এই সরকারের আমলে, শেখ হাসিনার আমলে যে স্বাধীনতা ভোগ করছে এটা বোধহয় বাংলাদেশে নজিরবিহীন। অতীতের কোনো সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এই মর্যদা, এই কর্তৃত্ব করতে পারেনি। আজকে আমাদের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, আমাদের মন্ত্রীরা দুদকের মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন। এখন মামলা চলছে, চলমান, প্রেসিডিয়াম মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। আমরা যদি ইন্টারফেয়ার করি তাহলে আমাদের দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক পর্ষদ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা চলছে কীভাবে? ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সাহারা খাতুন, আবদুল মান্নান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে। এ ছাড়াও খুলনা বিভাগের জেলা আওয়ামী লীগ ও দলীয় এমপিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, আমাদের দলের পক্ষ থেকেও সংবর্ধনার প্রয়োজন আছে। তার জন্য নেত্রীর কাছে আমরা তারিখ চেয়েছি। আশা করছি, এপ্রিল মাসের শেষে বা মে মাসে অনুমোদন পাওয়া যাবে। অনুমতি পেলে আমরা বড় আকারে সেলিব্রেট করব দলের পক্ষ থেকে।

সর্বশেষ খবর