সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজের সমাপ্তি ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। গতকাল বেলা ১টায় জেলা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রশাসনের কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যগণ, উপকারভোগী কৃষক, সাংবাদিক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, আমরা কথা দিয়েছিলাম সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেব। এই মৌসুমে বাঁধ নির্মাণের জন্য রেকর্ড ১৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে সব টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। যে কারণে হাওরের ফসলের সুরক্ষায় বাঁধের নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে ৯৪ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমাদের কাজে এবার মানুষ সন্তুষ্ট। হাওরে দৃশ্যমান কাজ হয়েছে। বাঁধ নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিক ছিলেন। সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করেছেন। তিনি কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করুন। যাতে আগাম বন্যায় ক্ষতি করতে না পারে। আর আগামীতে আগাম জাতের ২৮ ধান রোপণ করুন। এই ধান বন্যা আসার আগে কাটা যায়। জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক, শাহনা রব্বানী এমপি, মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কবির বিন আনোয়ার, উন্নয়ন কর্মী জামিল চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক, হাজী আবুল কালাম, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সাবেক পিপি শফিকুল আলম প্রমুখ। এদিকে, সভা চলাকালে সার্কিট হাউসের সম্মুখে দোয়ারাবাজারে সুরমা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।