রাজধানীর উন্নয়নে সাতটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৫৪টি সেবা সংস্থার সমন্বয়হীনতার চরম অভাব বলে মন্তব্য করেছেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত মেয়রের কোনো ক্ষমতা নেই। একটি ল্যাম্পপোস্টও লাগানোর ক্ষমতা তার নেই। বিশ্বের সব দেশেই নগরের সেবক নগরপিতা। শুধু ঢাকায় নগরে কোনো কাজ করার ক্ষমতা নেই নগরপিতার। আমি মনে করি, সাতটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৫৪টি সেবা সংস্থাকে মেয়রের নেতৃত্বে কাজ করার সুযোগ দিলে ঢাকার চিত্র পাল্টে যাবে।’ গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এ মন্তব্য করেন। মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ‘উন্নয়নের জন্যই খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে। এটা হতেই হবে। রাস্তায় পিচ ঢালাই হচ্ছে। পৃথিবীর সব দেশেই এমন হয়। কিন্তু তা কখনই দিনের বেলায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে হয় না। জনগণের কথা বিবেচনা করে রাত ৮টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত চলে উন্নয়ন কার্যক্রম। এরপর ওই রাস্তা ধুয়ে মুছে এমনভাবে পরিষ্কার করে উন্মুক্ত রাখা হয়, যাতে কেউ বলতে না পারে, এখানে কোনো গর্ত খোঁড়া হয়েছিল। কিন্তু আমাদের ঢাকার চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। এখানে সকালে এক সংস্থা কাজ করে মাটি ভরাট করে যাচ্ছে, আবার দুপুরে আরেক সংস্থা এসে কাজ শুরু করছে। বিকালে কাজ করছে আরেক সংস্থা। কী অদ্ভুত এই ঢাকা শহর! এটা চলতে দেওয়া উচিত নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীরা কোনো গাফিলতি করলে তাকে বদলি করা হয়। কিন্তু একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির যার জবাবদিহিতা জনগণের কাছে তাকে গালি পর্যন্ত খেতে হয়। তা ছাড়া নগরপিতাকে শুধু রাস্তা ঝাড়ু দেওয়া আর মশামাছি নিধনের কাজ দেওয়া হচ্ছে। এই পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে। মেয়রকে শক্তিশালী করতে হবে। তাকেই কাজের সমন্বয়ক করতে হবে।’