শনিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

নির্বাচন বর্জন করে জনগণের কাছে যাওয়া যায় না : কাজী রকিব

নিজস্ব প্রতিবেদক

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী দল বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, নির্বাচন বর্জন করে জনগণের কাছে যাওয়া যায় না। নির্বাচনের মাঝখান দিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে। নির্বাচন করলাম না— এটা কোনো গণতান্ত্রিক আচরণ নয়।

গতকাল বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি)  আয়োজিত নির্বাচনবিষয়ক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণে রিসোর্সপারসন হিসেবে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিন দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা। এ ছাড়া গতকাল প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুল আলম চৌধুরী প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন।

দশম সংসদ নির্বাচনের সময় সিইসির দায়িত্বে ছিলেন কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। ওই নির্বাচনে বিএনপি ও শরিক দলগুলো অংশ নেয়নি। এ নিয়ে নানা বির্তকের সৃষ্টি হয় এবং একতরফা নির্বাচনের অনুষ্ঠানের দায় পড়ে কাজী রকিব কমিশনের ওপর। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দায়িত্ব কার? এ বিষয়ে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, এ দায়িত্ব সবার। সব রাজনৈতিক দল, যারা সহায়ক সংস্থা তথা সরকার, নির্বাচন কমিশন, মিডিয়াসহ সবার। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল যদি ফেয়ারলি অংশগ্রহণ করে তাহলে সমতা আসে। তিনি বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্লেটে করে তুলে দেওয়া যায় না, এটা খেলতে খেলতে হয়। দুই দল যদি সমান সমান হয়, আর যদি খেলা শুরু করে তবে ওখানেই ফিল্ড তৈরি হয়।’ সাবেক সিইসি কাজী রকিব বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে নির্বাচনের মূল বিষয়, যা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কিন্তু কীভাবে হবে, কার দায়িত্ব, কে করবে এটাই সমস্যা। তিনি বলেন, ‘এটা কি বাই পার্টি সিস্টেম, না মাল্টি পার্টি সিস্টেমে হবে? আমরা বলি, বড় দলগুলোর অংশগ্রহণ হচ্ছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আপনাদের বিরোধ থাকতে পারে, এটা ঠিক নয়, এটা ভালো নয়। কিন্তু নির্বাচন বর্জন করে জনগণের কাছে যাওয়া যায় না। নির্বাচনের মাঝখান দিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে। নির্বাচন করলাম না— এটা কোনো গণতান্ত্রিক আচরণ নয়।’ সাবেক এই সিইসি বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য নির্বাচনে আসতে হবে। আসতে হবে, তার পরে আপনি বলেন, এটা ঠিক হয়নি, এটা ঠিক করে দেন।’

সর্বশেষ খবর