মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

উপাচার্য বললেন হামলা হত্যার উদ্দেশ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে রবিবার রাতে ফোন করে প্রায় পাঁচ মিনিট কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাসভবনে হামলার পর উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক বাসভবন থেকে বাইরে এনে বসান। উপাচার্য ফোন ধরে প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আপা আমি ভীতিকর অবস্থায় আছি। পরিবারের বাকি সদস্যরা কোথায় জানি না। ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অপর প্রান্ত থেকে কিছু বলার পর উপাচার্য বলেন, আপা বিষয়টি রাজনৈতিক। বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা যেত। এরপর ফোন করার জন্য উপাচার্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন। গভীর রাতে বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর হত্যার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, প্রাণনাশের জন্য, লাশের রাজনীতির জন্য। এই তাণ্ডব সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রের প্রতি আঘাত। হত্যার উদ্দেশ্যে আমার পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমি সরকারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দাবিটি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। তখন সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে বলা হয়, এ বিষয়টি সরকার সক্রিয়ভাবে দেখছে।’ এই কথাটি আমি যখন শিক্ষার্থীদের বলতে আসি, তখনই রাত ১টার দিকে লোহার রড দিয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারকে প্রাণনাশের জন্য হামলা করা হয়। গতকাল সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। এ সময় তিনি বলেন, ‘লাশের রাজনীতির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাণ্ডব চালানো হয়েছে।’ গতকাল রাতে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে বলে আমি মনে করি না। এরা প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, এরা লাশের রাজনীতির জন্য এই তাণ্ডব চালিয়েছে।’ উপাচার্যের বাসভবনে বহিরাগতরা হামলা চালিয়েছে বলে মনে করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়। ভিসি ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাণ্ডবলীলা চালানোর প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব সদস্যের অংশগ্রহণে মানববন্ধনের কর্মসূচি দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাকসুদ কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক মদদপুষ্ট হয়ে বহিরাগতদের মাধ্যমে এ হামলা চালানো হয়েছে। কোনো ছাত্র এ ধরনের ধ্বংসাত্মক হামলা চালাতে পারে না। মুখোশ পরিহিত অবস্থায় থাকলেও তাদের আচরণে এটা পরিষ্কার যে তারা ছাত্র নয়। তারা প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী।

সর্বশেষ খবর