বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

২০ শতাংশ থাকা উচিত

—আলী ইমাম মজুমদার

২০ শতাংশ থাকা উচিত

কোটা সংস্কারের বিষয়ে জোর দিয়ে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম  মজুমদার বলেন, আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোনো কোটাই একেবারে বিলুপ্ত করা হয়তো সম্ভব হবে না। তবে সরকারের অঙ্গীকার অনুসারে মেধা কোটা যৌক্তিক পরিমাণে বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে মেধাবী সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ৮০ শতাংশ রেখে বাকি ২০ শতাংশ সীমাবদ্ধ করতে হবে সব কোটার জন্য। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব ও সমীচীন। আমরা রাষ্ট্রের জনগণের করের টাকায় তাদের সিংহভাগকে চাকরির অধিকার থেকে বঞ্চিত করে চলেছি। অধিক মেধাবীদের পাশে ফেলে টেনে তুলছি কম মেধাবীদের। বিশ্ব ছোট হয়ে আসছে। আমরা প্রায় প্রতিটি বিষয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজের ভাগ বুঝে নিতে হলে মেধার দাপট প্রয়োজন। আর তা করতে হলে প্রতিটি চাকরিতে সর্বোচ্চ মেধাবীদের স্থান দেওয়ার দাবিই তো যৌক্তিক। অথচ তাদের প্রতি অব্যাহতভাবে অবিচার করে দূরে ঠেলে দিয়েই বহুমাত্রিক বিরূপ অবস্থার সৃষ্টি করা হচ্ছে। আলী ইমাম মজুমদার আরও বলেন, জেলা কোটাকে যেভাবে রাখা হয়েছে, তা অবাস্তব এবং নিয়োগদাতাদের কাজকে জটিল করে ফেলছে। সর্বশেষ জনগণনা মতে, জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি জেলায় কোটা ভাগ করা হয়। এ ক্ষেত্রে উন্নত জেলাগুলো কেন এই সুবিধার আওতায় আসবে তা বোধগম্য নয়। দেশের বিভিন্ন জেলার আর্থ-সামাজিক দিক বিবেচনায় নিচের দিকে থাকা কয়েকটি জেলা অনগ্রসর অঞ্চল হওয়ায় তাদের জন্য একটি কোটা সংরক্ষণ করা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর