জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, চলমান কোটা পদ্ধতিতে রয়েছে অসংখ্য সমস্যা ও ফাঁকফোকর। তাই এর সংস্কার অত্যাবশ্যক। যে ব্যক্তি কোটায় একবার সুবিধা ভোগ করেছেন তাকে আর দ্বিতীয়বার সুবিধা দেওয়া যাবে না। কেউ ভর্তিতে কোটা সুবিধা নিলে চাকরিতে কোনোভাবেই তাকে সুযোগ দেওয়া যাবে না। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা, জেলা ও নারী কোটা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। ১৫ বছরের পরিসংখ্যান ধরে বলতে পারি এই কোটায় কোনো বছর ৭, কোনো বছর ৮ শতাংশ পূরণ হয়েছে। কোনো বছর কোটাধারী কেউ পাসই করেনি এমন ঘটনাও রয়েছে। তাই কোটায় থাকা যেটুকু পূরণ হচ্ছে না সেটা জাতীয় মেধা থেকে পূরণ করতে হবে। সিদ্ধান্তে জটিলতা না রেখে এই একটি বিষয় যোগ করলে মেধাবীদের সুযোগ আরও প্রসারিত হয়। এই শিক্ষাবিদ আরও বলেন, বর্তমান যোগাযোগব্যবস্থায় জেলা কোটা উপযোগিতা হারিয়েছে। এখন আর স্কুল, কলেজ, শিক্ষার সুযোগ নেই এ রকম জেলা নেই। আর ৪৭০টি উপজেলার মধ্যে হাওর ও চরের মাত্র ৩৫টি উপজেলা আছে যা প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সেগুলোকে নির্ধারিত শর্ত দিয়ে সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সবাইকে নয়। শিক্ষার্থীরা যে জায়গায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা সম্পন্ন করবে তাদের কোটায় সেটাকেই প্রাধান্য দেওয়া যেতে পারে। সুযোগ-সুবিধা নিয়ে রাজধানীতে পড়াশোনা করে কুড়িগ্রামের চরের সুবিধা নেওয়া অনৈতিক।