বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

সাংবাদিকদের আবার আশ্বস্ত করলেন আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাংবাদিকদের আবার আশ্বস্ত করলেন আইনমন্ত্রী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে সাংবাদিকদের আবারও আশ্বস্ত করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আইনের খসড়াটি সংসদে উত্থাপনের ফলে আলোচনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। আমি আপনাদের বলতে চাই যখন এটা স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যাবে, তখনো কিন্তু আলাপ-আলোচনার সময় থাকবে এবং আলাপ-আলোচনা হবে। আপনাদের কোনো রকম উদ্বেগের কারণ নেই। গতকাল রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলা ও দায়রা জজ এবং সম পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ৩২ ধারা নিয়ে সমালোচনার মুখে আইনমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছিলেন, প্রয়োজনে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সুরক্ষায় ওই ধারায় একটি উপধারা যোগ করা যেতে পারে। সে প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, যে উপধারার কথা বলা হয়েছিল, তার প্রয়োজন হলে এবং সেটি করলে যদি এমন দাঁড়ায় যে, ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন এবং ফ্রিডম অব স্পিচ ব্যাহত হবে না, তাহলে নিশ্চয়ই সেটা সংযোজন করা হবে। আইনমন্ত্রী বলেন, বিলটা কারও সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে উত্থাপন করা হয়েছে, কথাটা ঠিক নয়। বরং উত্থাপন করে আলাপ-আলোচনার দ্বার উন্মোচন করা হয়েছে। আমি তো বলেছিই আপনাদের কোনো রকম উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত না। আমি আরও বিশদভাবে আপনাদের বলব এক সময়, কেন উচিত না। সাইবার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এই নতুন আইনটা ফাইনালাইজড হোক। এটাকে আরও ইনফ্রাস্ট্রাকচারালি এবং প্র্যাকটিক্যালি আরও শক্তিশালী করার জন্য যা করা দরকার আমরা করব। এর আগে অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারকদের মনে রাখতে হবে যে, মানুষ নিরুপায় না হলে আদালতের দ্বারস্থ হয় না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেই কেবল মানুষ বাধ্য হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়। তিনি আরও বলেন, আদালতই বিচারপ্রার্থী জনগণের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। কাজেই বিচারপ্রার্থী জনগণ যাতে স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার লাভ করতে পারে সেদিকে বিচারকদেও খেয়াল রাখতে হবে। অনুষ্ঠানে আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক ও আইন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর