শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

এমপিদের সুযোগ দেওয়া হবে সংবিধান পরিপন্থী : বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে এমপিদের প্রচারে নামার সুযোগ দিতে নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনাকে ‘সংবিধান পরিপন্থী’ বলেছে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা শুনতে  পাচ্ছি, নির্বাচন কমিশন সংসদ সদস্যদের প্রচারে যাওয়ার সুযোগ দিতে পারে। আমরা বলতে চাই, এটা স্পষ্টভাবে সংবিধানের ও আইনের লঙ্ঘন হবে। নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন হবে।’

গতকাল কুমিল্লার বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমের স্মরণে জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভা হয়। সংগঠনের সভাপতি মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে মনজুর হোসেন ঈসার পরিচালনায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম, সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূঁইয়া ও আতাউর রহমান আঙ্গুর, কেন্দ্রীয় নেতা ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, প্রয়াত খোরশেদ আলমের ছেলে আতিকুল আলমসহ চান্দিনা ও হোমনার বিএনপির নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আপনারা স্বাধীন, নিরপেক্ষ। আপনাদের যে বিধি, সেই বিধি যাতে লঙ্ঘন না হয়, সেটা দেখবেন। সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি আবারও তুলে ধরে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘দুটি সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। আমরা শুনলাম এখন পর্যন্ত তাদের কোনো চিন্তাভাবনা নেই। আমরা আবারও বলতে চাই, আপনারা (ইসি) চিন্তায় আনেন। দুটি সিটি করপোরেশনের ভোটাররা নির্ভয়ে নিজের ভোটটা ইচ্ছামতো দিতে পারবেন কিনা। এই দুটি সিটি নির্বাচন ইসির জন্য অগ্নিপরীক্ষা।’ প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা সারা দেশে নৌকায় ভোট চেয়ে প্রকারান্তরে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকেও প্রভাবিত করছে বলে অভিযোগ করেন ড. মোশাররফ।

 তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা নৌকায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনেও আওয়ামী লীগ নৌকায় ভোট চাচ্ছে। প্রকারান্তরে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সিটি করপোরেশনেও ভোট চাচ্ছেন। এটা তারা পারেন না। এটা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, ‘এই মামলা ষড়যন্ত্রের অংশ। সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো প্রহসন করে ভোট ছাড়া জনগণ ছাড়া আগামী সংসদ নির্বাচন করতে চায়। আমরা বলতে চাই, এখন ২০১৪ নয়, ২০১৮ সাল। ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন আর হতে দেওয়া হবে না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর