রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিএনপি চায় না তারেক ফিরে আসুক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চায় না তারেক ফিরে আসুক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চায় না জেল-জুলুম মোকাবিলা করে দেশে ফিরে তারেক রহমান রাজনীতি করুক। তারেক রহমানেরও সে সাহস নেই। গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধুর মেঝ ছেলে শেখ জামালের ৬৪তম জন্মবার্ষিকীতে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান ছাড়াও তার মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দিতে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে সরকারের কিছু করণীয় নেই। তাকে মুক্তি দেওয়া না দেওয়া আদালতের বিষয়। আগামী জাতীয় নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের প্রশ্নে কাদের বলেন, এখানেও অংশগ্রহণ নিয়ে সরকারের কিছুই করার নেই। সব ঠিক হবে আদালতের নির্দেশে। এর আগে ওবায়দুল কাদের শেখ জামালের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এরপর যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধুপুত্রকে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারুজ্জামানসহ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ ও আড়াইহাজার প্রতিনিধি জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এখন ফাঁদে পড়ে গেছে। তারা সকালে বলেন এক কথা, বিকালে বলেন আরেক কথা। যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়েছেন তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তারেকের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাহস থাকে তো বাংলাদেশে আসেন। তার বিরুদ্ধে একবার ৭ বছর আবার ১০ বছর দণ্ড হয়েছে। মুচলেকা দিয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন। বিএনপি ৯ বছরে ৯ মাসও আন্দোলন করতে পারেনি। তাদের আন্দোলন এখন নালিশের মধ্যে। নয়াপল্টনের অফিসে বসে প্রেস ব্রিফিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। গতকাল দুপুরে আড়াইহাজার ফকিরবাড়ি এলাকায় এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অধীনে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর, শিবপুর-রাধিকা আঞ্চলিক মহাসড়ক, রামচন্দ্রী-গোপালদী ও তালতলা-মানিকপুর সড়কের সংস্কার কাজের মোড়ক উন্মোচন করেন। তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, মানুষ কিন্তু আমাদের দিকে নজর রাখছেন। আপনারা যদি জনগণের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, কোনো কিছু না করেও এমপিদের এর খেসারত দিতে হবে। নির্বাচনের আর মাত্র ৬ মাস বাকি। আপনারা ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। মনে রাখবেন বাগানের ফুল শুকিয়ে যাবে। বিলবোর্ডের ছবি ছিঁড়ে যাবে। সুন্দর সুন্দর ডিজিটাল চেহারা নষ্ট হয়ে যাবে। পাথরে লেখা নাম রয়ে যাবে। হৃদয়ে লেখা নাম রয়ে যাবে। উন্নয়নের সঙ্গে ভালো আচরণ করলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিত হবে। নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেয় তার সঙ্গে কাজ করবেন। সারা দেশের ছবি আমাদের কাছে আছে।

সর্বশেষ খবর