আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা হচ্ছে বিনা বিচারে কেউ যেন কারাগারে আটক না থাকে। তার এ নির্দেশনার আলোকে সব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ করে কারাবন্দীদের বিচার দ্রুততম সময়ে শেষ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কেউ যেন বিচারহীন না থাকে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখছে বর্তমান সরকার। গতকাল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক (সিনিয়র জেলা জজ) মো. জাফরোল হাছান। আইনমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র কারাবন্দীদের দুর্দশা লাঘবে প্রয়োজনীয়, স্থায়িত্বশীল এবং পরিবর্ধিত আইনি কাঠামো তৈরি করা বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মসূচি। কারাবন্দীদের মামলায় যথাসময়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে আইনগত সহায়তা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় পুনর্বাসন প্রক্রিয়া গ্রহণেও আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। কারাগারকে সংশোধনাগারে পরিণত করার জন্য আধুনিক কারা আইন ও পরিবর্ধিত কারাবিধি প্রণয়ন করা হচ্ছে বলেও মন্ত্রী জানান। মন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যে সরকারগুলো ক্ষমতায় এসেছে, বাংলাদেশের প্রতি তাদের আনুগত্য ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তাই জাতীয় আইনগত সহায়তা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সরকারগুলোর অনীহা ছিল। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার সরকার গঠনের পর আর্থিকভাবে অসচ্ছল বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ প্রণয়ন করেন এবং সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর এই আইনের বাস্তবায়ন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন করলে ওই আইনের বাস্তবায়ন কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে অনেকগুলো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।