শুক্রবার, ১১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

কোটা সংস্কারের কমিটি গঠনের ফাইল প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে

আন্দোলনের চার আসামি রিমান্ডে

নিজস্ব ও আদালত প্রতিবেদক

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল বা সংস্কার করতে একটি কমিটি গঠনের রূপরেখা-সংক্রান্ত ফাইল গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান। সচিবালয়ে নিজ দফতরে গতকাল বিকালে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি, এটা বৃহস্পতিবার সকালেই পাঠানো হয়েছে। এটা যদি প্রধানমন্ত্রী দেখেন তাহলে দু-এক দিনের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত দেবেন। এ-সংক্রান্ত একটি কমিটিও হবে।’

সচিব বলেন, ‘ওই কমিটি সুপারিশ করবে। কমিটির সুপারিশ সরকার অনেক সময় রাখে। তারপর একটা সিদ্ধান্ত হবে। যেটা সবাই চাইছে আশা করি সেটাই হবে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে মোজাম্মেল হক খান বলেন, কমিটির সদস্য চার থেকে পাঁচজন হতে পারে। এর আগে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারে কমিটি করার জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। এর মধ্যে কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি না করলে রবিবার থেকে ফের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। মোজাম্মেল হক খান বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ বা কোটা সংস্কারের বিষয়ে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে এ দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। কমিটি গঠিত হলে কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর সরকার পরবর্তী অবস্থান সবাইকে জানিয়ে দেবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০, নারী ১০, জেলা ১০, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৫ ও প্রতিবন্ধী কোটা ১ শতাংশ।

চার আসামি তিন দিন করে রিমান্ডে : কোটা সংস্কারের আন্দোলনে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনার মামলায় চারজনকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব শাহীন রিমান্ডের এ আদেশ দেন। তারা হলেন—রাকিবুল হাসান, আলী হোসেন শেখ, মাসুদ আলম ও আবু সাঈদ ফজলে রাব্বি। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী আসামিদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাস্তা বন্ধ করে টায়ার ও আসবাবপত্র জ্বালানোসহ নাশকতার অভিযোগে ও দায়িত্বরত পুলিশকে মারধর ও কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক ভজন বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ ছাড়া ওই ঘটনায় আরও দুটি মামলা করে পুলিশ। আর ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। পরে গত ২৯ এপ্রিল দুপুরে চানখাঁরপুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর