সোমবার, ১৪ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা আগামীর চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা আগামীর চ্যালেঞ্জ

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, আগামীতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা। মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ জরুরি।

গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ওয়াটার এইড বাংলাদেশ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে  তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওয়াটার এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর খায়রুল ইসলাম, ওয়াটার সাপ্লাইর কর্ডিনেটর এস এম আনোয়ার কামাল, ইউনিসেফের প্রতিনিধি ডারা জনথন, এফএসএম নেটওয়ার্কের প্রতিনিধি হাসিন জাহান প্রমুখ।

ড. জিল্লুর রহমান বলেন, আমরা ইতিমধ্যে খোলা স্থানে মলত্যাগ শূন্য শতাংশে নিয়ে এসেছি। এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এটা দেশের গ্রাম বা মফস্বল শহরগুলোতে খুব বেশি সমস্যা না হলেও বড় বড় শহরকে ভাবিয়ে তুলেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ওয়াশ প্রোগ্রামের উন্নয়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রতিবছর বাজেটে এর বরাদ্দ বাড়লেও কয়েক বছরে অন্য খাতের বরাদ্দের তুলনায় এটা অনেক কম। গত ছয় বছরে ক্রমবর্ধমান জিডিপি ও বর্ধিত বাজেটের বৃদ্ধির তুলনায় এই বরাদ্দে অর্থ বেড়েছে মাত্র তিন দশমিক তিন শতাংশ। এই বাস্তবতায় স্বাস্থ্যবিধি, পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যথাযথ অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য তিনি আহ্বান জানান।

সিটি করপোরেশনগুলোতে বরাদ্দের ক্ষেত্রে অসমতার কথা তুলে ধরে ড. হোসেন জিল্লুুর রহমান বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আটটি সিটিতে ওয়াসার মোট বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। বরাদ্দ বাড়লেও তিন সিটিতে (খুলনা, বরিশাল, গাজীপুর) ওয়াশ প্রকল্পে কোনো অর্থই বরাদ্দ করা হয়নি।

ইউনিসেফের প্রতিনিধি ডারা জনথন বলেন, উন্নয়ন কর্মসূচির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার খুবই আন্তরিক। আমরা আশা করি বৈষম্য-অসমতার ঘাটতি দূর হবে। একই সঙ্গে দক্ষতাও বাড়বে।

বরাদ্দ করা অর্থ যথাসময়ে খরচের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিবীক্ষণ ও তদারকি প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর